বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার সেই অধ্যাদেশে কী ছিল, কীভাবে এলো ও গেলো
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলেও বাংলাদেশে জাতির পিতার হত্যার বিচারই আটকে দেওয়া হয়েছিল, যা বিশ্ব ইতিহাসেই বিরল।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের রক্ষায় একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘স্বঘোষিত’ রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ।
পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে সংবিধান সংশোধন করে খুনিদের রক্ষার পর পথটি স্থায়ী করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ওই ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে।
এরপর বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালতের চূড়ান্ত রায় অনুযায়ী ছয় খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে পাঁচজন এখনও রয়েছেন পলাতক।
জনককে হত্যার সেই রাত
১৫ অগাস্ট: কী ছিল সেদিনের পত্রিকায়
কী ছিল অধ্যাদেশে
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় বসে সামরিক আইন জারি করেন বঙ্গবন্ধু সরকারেরই মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক, তার পেছনে ছিল সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা।
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলতার দেড় মাসের মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ’ জারি হয়। ‘দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে স্বাক্ষর করেছিলেন খোন্দকার মোশতাক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এইচ রহমান।
দুই অংশের অধ্যাদেশটির প্রথম অংশে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবৎ আইনের পরিপন্থি যাই কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।
আর দ্বিতীয় অংশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যায়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হল। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।
মোশতাকের পর জিয়ার হাত
এই অধ্যাদেশ জারির পেছনে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে; যিনি তার ঠিক আগেই সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
পরবর্তীতে সময়ে সামরিক অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল নিজেই রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হয়ে জিয়া ওই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন।
জিয়াউর রহমানজিয়াউর রহমান১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জিয়ার গড়া দল বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়।
এরপর ওই বছরের ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী পাস হয়।
ওই সংশোধনীতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দায়মুক্তি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়।
সংসদে উত্থাপিত আইনটির নাম ছিল ‘সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯’।
পঞ্চম সংশোধনীতে বলা হয়, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ, ও অন্যান্য আইন, উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ, অথবা প্রণীত, কৃত, বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ এতদ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং ঐ সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত, কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল, এবং তত্সম্পর্কে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো কারণেই কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।”
এই সংশোধনীর মাধ্যমে দায়মুক্তি অধ্যাদেশকে বৈধতা দেওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা পাকাপোক্তভাবে দায়মুক্তি পেয়ে যায়।
১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফলে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অঘোষিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশটি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা ছিল না।
সে পথ আটকাতেই জিয়া সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আনেন বলে মনে করেন সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
তিনি বলেন, “যারা এই হত্যাণ্ডটি সংগঠিত করেছিল, তারাই দায়মুক্ত হতে এই দায়মুক্তি অধ্যাদেশটি করেছিল।
“সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯-এর ক্ষমতাবলে ভবিষ্যতে কেউ যাতে ১৫ অগাস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে, সে ব্যবস্থাটিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে পরিণত করা হল।”
“নিঃসন্দেহে এই অধ্যাদেশটি ছিল আইনের শাসন বিরোধী,” বলেন তিনি।
- রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার নিষ্পত্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে কাজ করবে ডিএনসিসি
- উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্ত্রী-সন্তানদের প্রার্থিতা মানা
- আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
- ৪০ ফিলিস্তিনি নারীকে সুখবর দিল বাংলাদেশ
- সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা নেসার প্রতিনিধিদলের
- থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পাচ্ছে কারা
- ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
- যে কারণে মন্ত্রী-এমপিদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সহজে জয় পেল টিম টাইগার্স
- বকশিবাজারে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
- রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
- উত্তরায় রিকশাচালকদের ছাতা-পানির বোতল দিলেন মেয়র আতিক
- পথচারীদের পানিশূন্যতা রোধে রক্তের সন্ধানের উদ্যোগ
- রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার
- ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ২৯
- রাতে বৃষ্টি হলেও সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
- অবশেষে রাজধানীজুড়ে নামল স্বস্তির বৃষ্টি
- হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন পোশাক শ্রমিক
- স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা
- বাড়ির পাশে ব্রিজ নির্মাণ করতে বুয়েটের নকশা বাদ!
- কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রীর ছেলে ও ভাইয়ের লড়াই
- ছেলের কবরের বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
- জালে উঠলো শিশুর নিথর দেহ
- পেকুয়া উপজেলা বিএনপি নেতা রাজুকে শোকজ
- ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: তিন তদন্ত কমিটি
- ভয়াবহ নাব্য সংকট: ব্রহ্মপুত্র-নরসুন্দা এখন স্রোতহীন মরা খাল
- হোসেনপুরে এক রাতেই ৩ বৈদ্যুতিক টান্সমিটার চুরি
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- আজ রমজানের শেষ জুমা, জুমাতুল বিদা
- শুল্ক জটিলতায় পণ্য খালাস বন্ধ বকশীগঞ্জের স্থল বন্দরে!
- ইসলামপুরে অসচ্ছল ৫০ হাজার ৬৮২ পরিবার পাবে ভিজিএফ চাল
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- কুরআনের আলো ছড়াতে হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখবে
- জামালপুরে অসহায় কামালের পাশে যুবসমাজ
- টিভি শো’র দুই বিজয়ী জামালপুরের
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- জামালপুরে র্যাবের হাতে টিকিট কালোবাজারি আটক
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত