• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

দলে সক্রিয় নন বিএনপি মহাসচিব

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

কারামুক্তির পর থেকে সাংগঠনিক এবং বিএনপির নানা কার্যক্রমে তেমন সক্রিয় নন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার এ নীরবতা নিয়ে দলে প্রশ্ন তুলেছেন নেতা-কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পর বিএনপি নেতারা তার বাসায় যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘণ্টাব্যাপী তার সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখা যাচ্ছে না। এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করেছেন তিনি। অন্যবার দেখা গেছে, জেল থেকে বেরিয়ে তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দলীয় কার্যালয়ে যান, সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য-বিবৃতি দেন, কিন্তু এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। শুধু কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আন্দোলনের বার্তা দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। তবে এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত তাকে রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, খুব শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন মির্জা ফখরুল। এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নীরব কেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির অনেকে বলছেন, তিনি অসুস্থ। ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নানা রকম জটিল রোগে ভুগছেন বলে দলের নেতারা বলছেন। খুব শিগগিরই তিনি বিদেশ যাবেন। একটু সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় তিনি রাজনৈতিক তৎপরতা গুটিয়ে নিয়েছেন বলে কেউ কেউ বলছেন। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে অন্য ধরনের খবরও পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বিএনপিতে এখন একটি রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে। অর্থাৎ সংগঠন কীভাবে চলবে, সংগঠনের নেতৃত্বে তারেক জিয়া শেষ পর্যন্ত থাকবেন, নাকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নেতৃত্বে আনা হবে। এসব বিষয় নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। আর এ কারণেই স্পর্শকাতর এ সময়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য বা সরকারের সমালোচনা ইত্যাদি থেকে দূরে সরে আছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনীতির ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক ধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতা, নির্বাচন এবং সামনে যে বিএনপির জন্য অনিশ্চিয়তার সময়, এটিই এ রাজনীতিবিদকে হতাশ করেছে। দুই একজন নেতার কাছে তিনি নির্বাচন পরবর্তী যে বিশ্ব পরিস্থিতি এবং জনগণের নিরাসক্ত ভাব নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর এ সময় হতাশার কারণেও তিনি নির্বাচনের আগে যে রকম উদ্দীপ্ত ও আগ্রহী ছিলেন, এখন সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তবে যে কারণেই হোক মির্জা ফখরুল ইসলামের নীরবতা বিএনপিকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর