• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বেনোনিতে কোনোরকমে ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালের টিকিট কাটতো পাকিস্তানের যুবারা। বাংলাদেশের যুবাদের ক্ষেত্রেও তাই-ই। কিন্তু শেষ চার নিশ্চিত করতে টাইগারদের মিলাতে হতো নানা সমীকরণ। সেই পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল জুনিয়র টাইগাররা। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
জটিল সব সমীকরণ মাথায় নিয়ে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টাইগারদের আগুনে বোলিংয়ে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানেই গুটিয়ে গেছে মাহফুজুর রহমানের দল। পাকিস্তানের জয় ৫ রানে।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১২ বলে ১৯ রান করে জিশান আউট হলে, ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শিবলি।

এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটারও। ২০ বলে ৩০ রান করে কট আউট হন তিনি। 

দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে আহরার আমিন ও আরিফুলের ব্যাটে চাপ সামলে এগোতে থাকে তারা। ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে এ জুটি ভাঙেন উবাইদ শাহ। 

ম্যাচের ১৬তম ওভারে আহরারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারেই আরিফুলের উইকেট তুলে নেন আলি রাজা। উড়ন্ত ক্যাচে আরিফুলকে তালুবন্দী করেন শামিল।

ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যান শিহাব জেমস ও মাহফুজুর রহমান। কিন্তু তারাও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। তাদের বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশের যুবারা।

শেষের দিকে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে নিতে থাকেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ (২১৮)। তাকে সঙ্গ দিয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন মারুফ মৃধাও। কিন্তু জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকা টাইগার যুবাদের অলআউট করে দিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন উবাইদ শাহ। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শামিল হোসেন ও শাহজাইব খান। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। এভাবে ৮ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয় এ জুটি।

ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। ওভারের চতুর্থ বলে শামিলের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১৯ করেন এ ব্যাটার।

পরে ক্রিজে আসেন আজান আওয়াস। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখান বর্ষণ। এরপর ক্রিজে আসেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সাঈদ বেগ। দুর্দান্ত থ্রোতে তাকে রান আউট করেন আরিফুল ইসলাম।

সাঈদের বিদায়ের পরেই উইকেট বিলিয়ে দেন পাকিস্তান ওপেনার শাহজাইব খান (২৬)। ব্যাট হাতে ব্যর্থ  হয়েছেন হারুণ রশীদও (৭)।

দলীয় শতরানের আগেই ছয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু আসফান্দ ও মিনহাজের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ পারভেজ। তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাবর-রিজওয়ানদের উত্তরসূরীরা।

টাইগারদের আগুনে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১৫৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট শিকার করেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর