• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব নতুন যুগে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের প্রস্তুতি-প্রচারণা দেখতে আ`লীগকে বিজেপি’র আমন্ত্রণ ডলারের দাম বৃদ্ধির পরও হজ প্যাকেজের খরচ কমানো হয়েছে : ধর্মমন্ত্রী এবারও হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে: সৌদি রাষ্ট্রদূত দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ এপ্রিলে রেমিট্যান্স এলো ১৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময় পেছাল খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার নমুনা দিতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২০  

চার বছর আগে সাত বছরের ছেলেকে হারিয়েছিলেন মা। অবশেষে করোনা ভাইরাস মিলিয়ে দিল মা-ছেলেকে। সম্প্রতি করোনার নমুনা দিতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেলেন তিনি।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ঘটেছে এ ঘটনা। পথ শিশু ও অনাথ বাচ্চাদের করোনা টেস্ট করা হচ্ছিলো 'মুসকান কোভিড-১৯' নামক একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে। সেখানেই এই হারিয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়।

 

২০১৬ সালে পশ্চিম গোদাবরী ড্রিস্টিক্টে থাকতেন শিশুটির মা বব্বা শ্রী ললিতা। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই ছেলেকে নিয়ে ক্ষেতে কাজ করে সংসার চালাতেন। এছাড়াও পেট চালাতে অন্য কাজও করতেন তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালে তার বছর সাত বয়সের বড় ছেলেটি হারিয়ে যায়। বিজয়েন্দ্র রেলওয়ে স্টেশনে এই শিশুটিকে ২০১৬ সালে খুঁজে পায় পুলিশ। তখন সে তার বাড়ির ঠিকানা বলতে পারে না। পরে তাকে একটি অনাথ আশ্রমে রাখা হয়েছিলো।

 

জানা গেছে, বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে জোর করে তাকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো হচ্ছিলো। পরে সেখান থেকেই পালিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে সে। এবং বিজয়েন্দ্র স্টেশনে তাকে খুঁজে পায় পুলিশ। টানা চার বছর পরিবার ছাড়া ছিল সে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে গেলে বাচ্চাটি বলে সে পালাকল্লু গ্রামের কাছে থাকত। এই খবর জানার পর তারা বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় সেই গ্রামে। সেখানেই নিজের সন্তানকে দেখে চিনতে পারেন মা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, তারা সেই সময় এরকম ১০টা বাচ্চাকে উদ্ধার করে। যাদের জোর করে বিহারে কাজে লাগানো হচ্ছিলো। তবে এই বাচ্চাটি তার মাকে ফিরে পাওয়ায় খুশি সবাই। এছাড়াও 'মুসকান কভিড ১৯' প্রজেক্টের সফলতাও বেশ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তারা ২,৭৩৯টি বাচ্চার টেস্ট করাতে সক্ষম হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর