• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ঐতিহাসিক ডাকটিকিটে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪  

‘ডাকটিকিট’। যা একখন্ড কাগজ। মূলত এটি ডাক মাসুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই একখন্ড কাগজের পরতে পরতে গাঁথা থাকে ঐতিহাসিক অতীত ইতিহাস।
রোববার রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির উদ্যোগে দেশের ২৫ জন ডাকটিকিট সংগ্রহকের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, ডাকটিকিট শুধু কাগজে নয়, কিছু কিছু কাঠ, প্লাস্টিক ও স্বর্ণেরও হয়েছে। আবার কোনোটি টিন ও কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি হাজারের বেশি ডাকটিকিটের প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তরুণরা।

আয়োজকরা জানান, এই প্রদর্শনীতে দেশের প্রথম চিঠি লেখার খাম ও ডাকটিকিট রয়েছে। এছাড়া বর্তমান সময়ের খামও রয়েছে। রয়েছে ব্রিটিশ আমলের ডাকটিকিট ও অ্যারোগ্রাম। প্রদর্শনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ক্রিকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যুগখ্যাত নারী, পাখি, বিভিন্ন দেশের পতাকা, পোস্ট কার্ড স্থান পায়। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ফিজি, মালোয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিটের সমারহ দর্শনার্থীদের চমকিত করে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্মারক ডাকটিকিট একটি দেশ, জাতি ও সভ্যতা সম্পর্কে যে তথ্য দেয় তা অন্যভাবে তা পাওয়া যায় না। স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অতীতের জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে আরো গভীরভাবে জানা যায়। উপলব্ধি করতে পারে।

ডাকটিকিটের প্রদর্শনী মুগ্ধ হয়ে দেখছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ডাকটিকিট একেকটি ইতিহাসকে তুলে ধরছে। কালের আবহে ডাকটিকিট, ডাকঘর, ডাকপিয়ন এসব মাধ্যমগুলো এখন শুধুই অতীত। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো যেটুকু আছে, সেটুকুও বিলীন হয়ে যাবে। তবে এমন আয়োজন আমাদের শুধু না পৃথিবীর সমৃদ্ধ ইতিহাসকে তুলে ধরে। সত্যিই খুব ভালো লেগেছে এমন প্রদর্শনীর দর্শক হতে পেরে।

আরেক শিক্ষার্থী সজিবুল ইসলাম বলেন, সমসাময়িক ডাকটিকিটগুলো দেখেছি। কিন্তু এখানে না আসলে একসঙ্গে ডাকটিকিটের এতো বিশাল সংগ্রহ দেখা হতো না। এখানে বিভিন্ন দেশের কাগজ, কাঠ, প্লাস্টিক, স্বর্ণ, টিন ও কাপড়ে তৈরি ডাকটিকিট দেখলাম। আর আমি জানতামই না যে কাঠ, প্লাস্টিক, স্বর্ণ, টিন বা কাপড় দিয়েও ডাকটিকিট হয়। এখানে এসে পুরো ধারণা পাল্টে গেছে।

ডাক টিকিটের সংগ্রহক মোরর্শেদ হাসান। তিনি আগত দর্শনার্থীদের ডাকটিকিট সর্ম্পকে ধারণা দিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি জানান, এটা এক ধরনের নেশা বা ভালোলাগা। আসলে ভালোলাগা থেকে তারা এই সব ডাকটিকিটগুলো সংগ্রহ করে থাকেন। তার সংগ্রহে দেশি-বিদেশি চিঠির খাম ও ডাকটিকিট রয়েছে। যখন কোনো দেশ নতুন ডাকটিকিট বের করে তখন থেকেই সেটা সংগ্রহ শুরু করি।

এ বিষয়ে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন্ত কুমার জানান, এই প্রদর্শনীতে আসলে মানুষ জানতে পারবে ডাকটিকিটের বিষয়ে। এখানে বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট রয়েছে। এই দেশের বিভিন্ন স্থানের ২৫ জন সংগ্রহকের ডাকটিকিট স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীতে শুধু ডাকটিকিট নয়; রয়েছে চিঠি লেখার খাম। এই প্রদর্শনী চলবে সোমবার (৬ মে) পর্যন্ত। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর