ভাসানটেকে বিস্ফোরণ: একে একে মারা গেলেন সবাই

রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ লিজা আক্তার মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় দগ্ধ ৬ জনের সবাই মারা গেলেন। এর আগে, একই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে লিজা আক্তারের বাবা-মা, ভাই-বোন ও নানি মারা যান। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিজা। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, ভাষানটেক এলাকা থেকে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের ছয়জন শেখ হাসিনা বার্নে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে একে একে পাঁচজন আগেই মারা যান। এ ঘটনায় দগ্ধ লিজা একমাত্র বেঁচে ছিলেন। আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাই ডিফেন্সি ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে, ২৪ এপ্রিল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় লিজার ভাই সুজন। ১৬ এপ্রিল সকালে মারা যান বাবা লিটন মিয়া। তার আগের দিন সন্ধ্যায় লিজার মা সূর্য বানু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ১৩ এপ্রিল সকালে মারা যান নানি মেহেরুন্নেছা। এ ঘটনায় আরো মারা যায় লিজার বোন লামিয়া। গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ঐ পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।