• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪  

রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্ববধায়ন গ্রহণ করেছে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে জাহানারা ইমাম জাদুঘরটি এখন থেকে সরকারি ব্যবস্থপনায় জাতীয় জাদুঘরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। শনিবার জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামী জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি শহিদ জননী জাহানারা ইমাম জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর আত্তীকরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ঘাতক দালাল নির্মূলের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে, বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, আজ নিঃসন্দেহে একটি শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। সেটি সরকার ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম। শহিদ জননী জাহানারা ইমাম ছিলের ৭ কোটি মানুষের একজন পুরোধা নারী, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করেছিল। মন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু সেদিন রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, ঘাতক দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন-অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে-হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে সেসব কথা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা আলোচনা হয়, কিন্তু এই দিকগুলো একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস আলোচনায় আনা উচিত। সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে সাইফ ইমাম জামী। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর