আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী স্পাইডার-ম্যান
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২০

পিটার পার্কার একেবারের সাদাসিধে গোবাচারা ছেলে। স্কুলে কোন ঝুটঝামেলাতে যায় না। বেচারা ছেলেবেলা থেকেই অনাথ। জেঠা বেন আর জেঠিমা মে-র কাছে মানুষ। স্কুলে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা, কথা কম বলা, ছেলেটিকে তেমনভাবে কেউ চেনেও না, পাাাত্তাও দেয় না। পিটারও নিজের মতো থাকে। একদিন স্কুলের বিজ্ঞান পরীক্ষাগারে দুর্লভ প্রজাতির এক মাকড়সা কামড় দিল তাকে।
আর তারপরেই ঘটতে লাগল অদ্ভুত সব ঘটনা। পিটার লক্ষ করল, তার মাঝে মাকড়সার মতো নানা শক্তির উদ্ভব ঘটেছে। তার শারীরিক শক্তি, দ্রততা, ক্ষিপ্রতা, বেড়ে যাচ্ছে বেশ কয়েক গুণ। মাকড়সার মতোই দেওয়াল বেয়ে উঠতে বা দেওয়ালে সেঁটে থাকতে কোন অসুবিধাই হচ্ছে না তার। আর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় যেটাকে স্পাইডার সেন্স বলা হয়, যা আগাম বিপদের পূর্বাভাস দেয়। ল্যাবরেটরিতে বসে গবেষণা করে সে বানিয়ে ফেলে এক তরল যা মাকড়সার রসের মতো, বাতাসের সংস্পর্শে আসলেই তা পরিণত হবে শক্ত, দৃঢ় সুতোতে। সেই তরল নিক্ষেপের জন্য পিটার কব্জিতে বাঁধা একটি জাল ছুড়বার যন্ত্রও আবিষ্কার করে। অবশেষে গায়ের সাথে চামড়ার মতো লেগে-থাকা নীল—লাল কস্টিউম আর মণিহীন সাদা চোখওয়ালা মুখোশে নিজেকে ঢেকে শুরু হল পিটারের নতুন জীবন। পৃথিবী তাকে চিনল স্পাইডারম্যান নামে।
প্রথমদিকে নিজের সক্ষমতাআর সাহায্যে টেলিভিশনে কায়দা দেখিয়ে বেশ কয়েক পয়সা আয় করছিল পিটার। একদিন সব ওলটপালট হয়ে গেল। স্টুডিওতে আসা এক ছিনতাইকারী পিটারের হাত থেকে পালিয়ে গেল। পরে সেই খুন করে পিটারের প্রিয়তম জেঠা বেনকে। এতদিন যে শক্তিকে পিটার একেবারেই সিরিয়াসলি নেয়নি, রাতারাতি সে যেন উন্নীত হল নিষ্পাপ কিশোর থেকে বাস্তবের মাটিতে পা রাখা যুবকে। একটা মৃত্যু কত কিছুই না পাল্টে দেয়! পিটার বোঝে ‘মহান শক্তির সাথে মহান দায়িত্বও আসে’ (With Great Power, There Must Also Come Great Responsibility) ।
১৯৬২ সালে এই স্পাইডার-ম্যানের আইডিয়া প্রথম আসে কমিকস লেখক স্ট্যান-লির (২০১৮ সালে প্রয়াত) মাথায়। প্লটে সাহায্য করেন জ্যাক কার্বি আর আঁকিয়ে স্টিভ ডিটকো। ১৯৬৩ এর মার্চ মাস থেকে The Amazing Spider-Man প্রকাশ শুরু হয়। আজও তার জনপ্রিয়তার ধারা অব্যাহত। ব্যাটম্যান ও সুপারম্যানের সাথে এক নিশ্বাসে তার নামও উচ্চারিত হয়।
স্পাইডার-ম্যানের আকর্ষণ মূলত পিটার পার্কারের চরিত্রের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। সে এক কিশোর। নিজের প্রিয়তম মানুষটির মৃত্যু রাতারাতি তাকে ঘাড় ধরে পরিচয় করায় পৃথিবীর অন্ধকার দিকের সাথে। ব্যাটম্যানের মতো সেও ব্রত নেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার। কিন্তু ব্যাটম্যানরূপী বেশ কয়েক বছর সময় পেয়েছে নিজেকে তৈরি করার। তার পিছনে ছিল ওয়েন ম্যানরের বিশাল ঐশ্বর্য। কিন্তু পিটারের এসব কিচ্ছু নাই। আছে শুধু অলৌকিক কিছু অতিমানবিক ক্ষমতা-যার বলে জেঠা বেনের মৃত্যুর পরপরই সে নেমে পড়ে দুষ্টের দমনে। কিন্তু অর্থের দিক থেকে নিম্ন –মধ্যবিত্ত এক কিশোরের মাথায় এই পৃথিবী উদ্ধারের দায়িত্ব যে কী ভয়ানক, তা সহজেই অনুমেয়। স্পাইডার-ম্যনের চরিত্রের এই কিশোরসুলভ মননি আমাদের আকর্ষণ করে। সে সুপারম্যানের মতো আবেগহীন বা ব্যাটম্যানের মতো দৃঢ়চেতা নয়।
সেও (পিটার পার্কার/স্পাইডার-ম্যান) আমাদের সবার মতো দুঃখে ভেঙ্গে পড়ে, উদ্বেল হয়, এমনকি কাঁদেও। একবার জেঠি মে অসুস্থ হলে পিটার তাকে রক্ত দেয়। সেই রক্তে আরও অসুস্থ হয়ে যায় মে।
তাকে সারানোর সিরাম আছে স্পাইডার-ম্যানের সবচেয়ে বড় শত্রু ড. অক্টোভাসের কাছে। তারই সন্ধানে স্পাইডার-ম্যান সেজে বেরিয়ে পড়ে পিটার। নানা বিপদ ঠেলে, ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েও কোনক্রমে সিরাম উদ্ধার করে মে-কে বাঁচায় পিটার-তখনও সে কলেজে ভর্তি হয়নি।
শুধু বেন জেঠাই নয়, মৃত্যুকে বারবার খুব কাছ থেকে দেখতে হয়েছে পিটারকে। তার খুব কাছের লোকেরা একের পর এক মারা গেছে চোখের সামনে। পিটারকে অত্যন্ত স্নেহ করত যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যাপ্টেন জর্জ স্টেসি, সে ড. অক্টোপাসে সাথে স্পাইডার-ম্যানের যুদ্ধকালীন ধসে-পড়া এক বাড়ির তলায় দাঁড়ানো একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু ঘটে। জর্জের কন্যা গোয়েন ভালবাসত পিটারকে। গ্রিন গবলিনের সাথে স্পাইডার-ম্যানের যুদ্ধকালীন তার মৃত্যু ঘটে। এই গ্রিন গবলিনও কিন্তু পিটারের খুব কাছের মানুষ। পিটারের প্রিয় বন্ধু হ্যারির বাবা নর্মান অসবোর্ন এক রাসায়নিক দুর্ঘটনায় সবুজ দানবে রূপান্তরিত হয়, যাকে আমরা গ্রিন গবলিন নামে চিনি। এভাবেই প্রিয়তম লোকেরা একে একে দূরে চলে গেছে পিটারের। মাঝে মাঝে সে ভেবেছে আর না, এবার সবকিছু ছেড়েছুড়ে সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাবে। কিন্তু তার পরপরই ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীতে তাকে আবার মুখে মুখোশ এটে নেমে পড়তে হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তার তো বিশ্রাম নিলে চলবে না।
স্পাইডার-ম্যানের কমিকস সর্বদা বাস্তবের সামাজিক সমস্যাগুলোকে তুলে ধরেছে পাঠকের কাছে। ’৬০-’৭০ দশকের আমেরিকার কলেজের নানা সমস্যা উঠে এসেছে পাতায় পাতায়। ১৯৭১-এ পিটারের বন্ধু হ্যারির মাদকাসক্ত হওয়ার কথা জানা যায়, ১৯৮২-র একটি সংখ্যার বিষয় ছিল আমেরিকার কলেজগুলোতে বন্দুকের অনুপ্রবেশ। ১৯৭৪-এ স্পাইডার-ম্যান জোট বাঁধে দ্যা পানিশারের সাথে। দুইজনে মিলে লাতিন আমেরিকার একনায়ক টারানটুলাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
স্পাইডার-ম্যানকে বাস্তবের পটভূমিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে লেখক জে• মাইকেল স্ট্রাকজিনস্কি। তার পিটার যেন আরও বেশি মানবিক গুণে ঋদ্ধ। স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে তার। সে এখন শিক্ষক।
তার পুরানো স্কুলে ফিরে গিয়ে সে দেখে স্কুল-পাড়া সবকিছুই পাল্টে গেছে। ছাত্রদের সে শেখায় উন্নত মানুষ হতে। সে বুঝতে পারে এতকাল গৃহহীন, কর্মহীন ভবঘুরে কিশোরদের নিয়ে ভাবেই নি।
অপরাধীদের শাস্তি দিয়েছে, কিন্তু যাতে কেউ অপরাধের পথে না যায়, সে চেষ্টা করেনি। তার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। ২০০৬-এর সিভিল ওয়্যার সিরিজে তো আর নিজেকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পারেনি। মুখোশ খুলে সারা বিশ্বকে নিজের পরিচয় দিয়ে দিয়েছে। আর তার পরেই বুঝতে পেরেছে কী ভুলটাই না সে করেছে। জেঠি মে’কে গুলি মারে ভিলেন। কোমায় চলে যায় মে। তাকে বাঁচাতে শয়তানের সাথে চুক্তি করে পিটার আর তার প্রাক্তন স্ত্রী মেরি জেন। শয়তান সময়কে পিছিয়ে নিয়ে যায় তখন, যখন পিটার আর মেরির বিয়ে হয়নি, মৃত বন্ধু হ্যারি বেঁচে ছিল, বেঁচে ছিল মে। সবার মাথা থেকে মুছে যায় পিটারের মুখোশ খোলার কথা।
আসলে পিটার পার্কার এমনই। পিটার প্যানের মতো সেও চিরকিশোর। সে ভুল করে, সে আবেগে ভাসে, সে অসম্ভবকে সম্ভব করতে চায়। ব্যথা পায়। কিন্তুয়াবার উঠে দাঁড়ায়। তার কারণ সে জানে তার সংকল্প পবিত্র। দায়িত্ব পবিত্রতর। আর পবিত্রতম-তার হৃদয়।

- রেমিট্যান্সের পর চমক দেখাচ্ছে রপ্তানি আয়ও
- সারাহ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার দাবি সংসদে
- জানুয়ারিতে ১৩১ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদক উদ্ধার
- সার-বীজ-কৃষি উপকরণের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
- মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
- রমজানের পণ্যের জন্য পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে
- আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেল চালু এ বছরই: সেতুমন্ত্রী
- স্পিকারের সঙ্গে নর্ডিক রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- ৫০ হাজার বছর পর আবারও দেখা যাবে ‘সবুজ ধূমকেতু’
- পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশের বেশি
- এক সন্ধ্যায় শৌখিনের দুই নাটক
- ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ, রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৬৯ বিলিয়ন ডলার
- চাকরি দিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
- লিওনেল মেসির ৪২ কোটি ভক্ত
- সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি আর কেউ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
- আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সপ্তম সভা ৭ ফেব্রুয়ারি
- বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সচিবের কবিতার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- কোমর ভাঙলেও বিএনপির ষড়যন্ত্র থেমে নেই : তথ্যমন্ত্রী
- দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
- জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে আন্দোলন করে লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
- বড়শিলা গ্রামে ড্রেন পুন:খননে বাঁধা, বোরো চাষ নিয়ে বিপাকে কৃষক
- গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা
- কালিহাতীতে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, আহত ১৪
- লক্ষ্মীপুরে চালু হলো প্রবাসী হেল্প ডেস্ক
- টাঙ্গাইল পৌর এলাকা পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত রাখতে শোভাযাত্রা
- পিরোজপুরে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ৩৯টি হুইল চেয়ার বিতরণ
- ছদ্মবেশে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করলো পুলিশ
- মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত মজিদ মাদারীপুরে গ্রেফতার
- গোপালপুর শিল্প ও বণিক সমিতির উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা
- ৬০ হাজার টন ইউরিয়া কিনবে সরকার
- এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজিনার মতবিনিময়
- চলতি বছর চালু হচ্ছে নতুন তিন জোড়া ট্রেন
- ভোলায় তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের শপথ
- মামলা ছাড়াই ব্যাংকগুলোর ঋণ অবলোপনের সুযোগ বাড়লো
- রাজধানী সম্প্রসারণে রাজউকের নতুন প্রকল্প: আরও ৫ উপশহর
- দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন
- ইজতেমায় মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দিনই দেওয়া যাবে বায়োমেট্রিক
- ৪৩ হাজার কৃষক পেলেন সার-বীজ
- পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে জাজিরার সবজি যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডে
- ‘স্মার্ট এয়ারলাইন’ হতে বিমান বাংলাদেশের পরিকল্পনা
- ঢাকায় আসবেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা!
- এ বছর তিন জোড়া নতুন ট্রেন চালু হবে
- চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ
- ভোগ্যপণ্যের জন্য এলসি খুলতে সহায়তা দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
- ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
- পঞ্চগড় জেলা আনসার ও ভিডিপি’র উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত
- নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন আন্দোলন খেলা করবে- কৃষিমন্ত্রী
- নির্বাচনে জয়ী না হলে জনতার কাতারে চলে যাব: প্রধানমন্ত্রী
