• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

জাল-কচুরিপানায় মরছে বেতুয়া খাল

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৩  

বেতুয়া খাল। এক সময় এটি ছিল নদী। অবৈধ জালের ফাঁদে বছরের পর বছর পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে এখন সেই ভরা যৌবনের নদীটি খালে পরিণত হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই বেতুয়া খালটি বিভক্ত করেছে ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ, ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নকে। এই তিন ইউনিয়নের শেষ সীমানার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে গেছে বেতুয়া খালটি। 
তবে খালটির বিভিন্নস্থানে খুর্চি ও বেহুন্দিসহ নানা ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে দখল করে মাছ শিকার করছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। যার ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জন্মাচ্ছে কচুরিপানা। এখন পুরো খাল কচুরিপানার দখলে। এতে করে খালটি ধীরে ধীরে মরতে বসেছে।

জানা যায়, এখান দিয়ে এক সময় লঞ্চ, স্টিমার, বড় বড় বোট এবং ট্রলার যাতায়াত করতো। দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তাদের বিভিন্ন প্রকার মালামাল এই বেতুয়া খাল দিয়ে আনা-নেয়া করতেন। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধ জাল ও কচুরিপানার কারণে খালটির জোয়ার-ভাটার পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হচ্ছে। এতে করে খালটি ধীরে ধীরে তার নিজস্ব প্রবাহ হারাচ্ছে। 

স্থানীয় আল-আমিন, মো. জসিম, নূর ইসলাম ও মো. আব্বাস বলেন, বেতুয়া লালমোহনের ঐতিহ্যবাহী একটি খাল। তবে খালের বিভিন্নস্থানে অবৈধ জাল এবং কচুরিপানার ফলে সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি মরতে শুরু করেছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে জাল এবং কচুরিপানায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার ফলে বেশি সমস্যা হচ্ছে। দুই পাশের ফসলি জমি, ধানের বীজতলা এবং বসত বাড়ি, মাছের ঘের ও পুকুর পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ জাল ও কচুরিপানা অপসারণ করে ঐত্যিবাহী এ বেতুয়া খালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার দাবি তাদের।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, পানি প্রবাহ বন্ধের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই পানি প্রবাহ বন্ধের মূল কারণ খালে ব্যাপক হারে  পলি মাটি জমা। এছাড়া অবৈধ জাল ও কচুরিপানার কারণেও পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ বেতুয়া খালটি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর