• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

নওগাঁয় চাহিদা বেড়েছে স্টিলের আসবাবপত্র

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

নওগাঁয় চাহিদা বেড়েছে স্টিলের তৈরি আসবাবপত্রের। দামে কম মানে ভালো এবং টেকসই ও মজবুত হওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের কাছে এখন পছন্দের। চাহিদা বাড়ায় গড়ে উঠেছে কারখানা। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এভাবে ঐ জেলার ব্যবসায়ীরা অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখছেন।
জানা গেছে, ২০০০ সালে নওগাঁ শহরের কাঁঠাতলী এলাকায় নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হাতে গোনা কয়েকটি স্টিলের দোকান গড়ে উঠেছিল। দামে কম মানে ভালো এবং টেকসই ও মজবুত হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে বাড়তে থাকে স্টিলের আসবাবপত্রের চাহিদা। সব শ্রেণির মানুষের কাছে এখন পছন্দের এসব স্টিলের আসবাবপত্র।

ব্যবসা ভালো হওয়ায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন দোকান। এসব দোকানে স্টিলের বাহারি খাট, সোফা, আলনা, মিটসেফ, সুকেস, দরজা-জানালা, এবং শিটের তৈরি বাক্স ও ড্রামসহ অন্যান্য আসবাব পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে ৭০টি দোকান থেকে এসব পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। ক্রেতাদের নজর কাড়তে দোকানের সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছে এসব আসবাবপত্র।
 
স্টিলের নকশা করা খাটের দাম পড়ে ৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সাধারণ খাট ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬৫০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া আলনা এক হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। খাটিয়া ১৫-৩০ হাজার টাকা এবং গোসলের খাট ৬-১৫ হাজার টাকা।

ক্রেতা রনি আহমেদ বলেন, কাঠের আসবাবপত্র সবারই পছন্দ। তবে দাম বেশি হওয়ায় সবাই কিনতে পারে না, আবার পোকা ধরে। এ কারণে স্টিলের আসবাবপত্র কেনার চাহিদা থাকে।

কর্মচারী খোকন হোসেন ও শাহিন বলেন, স্টিল ও সিটের কারখানা এবং দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০০ জন শ্রমিকের। যেখানে কেউ দিন হাজিরা আবার কেউ মাসিক চুক্তিতে কাজ করছেন। প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। যা দিয়ে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

দোকানি রেজা মৃধা বলেন, স্টিলের আসবাবপত্র সহজে নষ্ট হয় না। পরিবহনে সুবিধা। দামে কম মানেও ভালো। কাঠের একটি খাটের দাম ২০-৩০ হাজার টাকা। সেখানে স্টিলের খাটের দাম ৫-৮ হাজার টাকা। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের মাঝে চাহিদা রয়েছে।

নওগাঁ কাঁঠালতলী স্টিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, প্রায় ২৩ বছর আগে কাঁঠালতলী এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি স্টিলের আসবাবপত্রের দোকান গড়ে উঠেছিল। ব্যবসা ভালো হওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭০টি দোকান হয়েছে। প্রতিটি দোকানের নিজেস্ব কারখানা আছে। খুচরা বিক্রির পাশাপাশি পাইকারিতে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৭০টি দোকান থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার পণ্য উৎপাদন হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় পার্শ্ববর্তী বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর