• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

অর্ধশতাধিক সড়কে বন্যার ক্ষত, জনদুর্ভোগ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

সিলেটের ওসমানীনগরে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশতাধিক সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিটুমিন উঠে যাওয়া এবং খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে চলতে গিয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। সড়কগুলোর দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ।

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ওসমানীনগরের সব সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় কার্পেটিং ও বিটুমিন উঠে গিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ সড়কের ক্ষতি হয়েছে। বন্যা-পবরর্তী সময়ে সংস্কারের অভাবে সড়কগুলোতে খানাখন্দের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে সড়কগুলোর অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়ে এলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনও সংস্কারহীন অবস্থায় রয়েছে।

ওসমানীনগরে এলজিইডির আওতাধীন কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ৬৩৫ কিলোমিটার রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়কের পরিমাণ ২১৫ কিলোমিটার। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ১৭৮ কিলোমিটার পাকা সড়ক ও ১১টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এগুলো সংস্কারের জন্য অন্তত ১৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গোয়ালাবাজার-বালাগঞ্জ সড়ক, নাজিরবাজার-মাদারবাজার সড়ক, তাজপুর-মঙ্গলচণ্ডী-মান্দাবার্নকা সড়ক, বেগমপুর কালনিরচর সড়ক, সোয়ারগাঁও-রাখালগঞ্জ বাজার সড়ক, হলিমপুর-বুর্নঙ্গা-জামতলাবাজার সড়ক, হলিমপুর-বুর্নঙ্গা-জামতলাবাজার সড়ক, গোয়ালাবাজার-নিজ করনসী সড়ক, দয়ামীর-গোষগাঁও সড়ক, ঘয়নাঘাট গ্রামতলা সড়ক, গোয়ালাবাজার-গ্রামতলা সড়ক, শেরপুর টোল প্লাজা-সৈয়দ তাজ উদ্দিন (র.) মাজার সড়কসহ অর্ধশতাধিক সড়কে ব্যাপক খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সড়কে যানবাহন চালক ও পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
বুরুঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান বলেন, তাঁর ইউনিয়নের প্রায় সব সড়কই খানাখন্দে ভরা। সড়কগুলো সংস্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাঁর ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল ঝলক বলেন, তাঁর ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে শুধু তাজপুর-বালাগঞ্জ সড়ক মেরামত হয়েছে। বাকি সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলজিইডি প্রকৌশলী এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যা-পরবর্তী সময়ে তাজপুর-বালাগঞ্জ সড়কের ওসমানীনগর অংশ সংস্কার ছাড়া আর কোনো সড়ক সংস্কার হয়নি। এডিপির অর্থায়নে একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। সেই প্রকল্প থেকে বরাদ্দ পাওয়ার পর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো মেরামত করা হবে। এই প্রকল্প থেকে গ্রাম্য সড়কগুলো মেরামত সম্ভব হবে না। তবে বার্ষিক সংস্কার বরাদ্দের আওতায় কিছু সড়ক সংস্কার করা হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর