• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে আহত ২ পুলিশ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

নিষেধ করার পরও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখায় চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে চালকদের সঙ্গে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের হাতাহাতি হয়েছে। আহত হয়েছেন কনস্টেবল সোহেল রানা ও ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা।

পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো নিষেধ। কিন্তু নিষেধ অমান্য করে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে একটি রোগীবিহীন অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে সেবাপ্রার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানোর কারণ জানতে চাওয়া হয়। তখন উপস্থিত একজন জানান, চালক অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রেখে দুপুরের খাবার খেতে গেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও অ্যাম্বুলেন্সটি না সারানোয় শাস্তি হিসেবে চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়। এর জেরে দুপুর  আড়াইটার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা অ্যাম্বুলেন্সের চালক সোহেলকে হাতকড়া পরিয়ে ফাঁড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখন তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ২০ থেকে ৩০ জন চালক। তাদের বাধা দিতে গেলে হাতাহাতির ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও ফরহাদ হোসেন। এরপর হাতকড়া নিয়ে চলে যাওয়ার সময় চালক সোহেলকে আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

একাধিক অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, কোনো অন্যায় না করলেও একজন চালককে অযথা হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন তারা। তবে পুলিশের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেন চালক। অ্যাম্বুলেন্স চালক সোহেলকে আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর