• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রাম কাস্টমসের মামলা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

মশার লার্ভা নিধনে জৈব কীটনাশক বিটিআই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। বুধবার নগরীর বন্দর থানায় এ মামলা করেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা বাকী বিল্লাহ। মামলায় মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের বিরুদ্ধে কাগজপত্র জালিয়াতি করে বন্দর থেকে বিটিআইর চালান খালাসের অভিযোগ এনেছে কাস্টমস। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এ মামলায় মার্শাল অ্যাগ্রোভেট ও তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন, মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের নির্বাহী পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ, এমডি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান তাইবোলি এন্টারপ্রাইজের মালিক বিশ্বনাথ কর্মকার, সিঅ্যান্ডএফের জেটি সরকার জাকির হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় সিনহা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মার্শাল অ্যাগ্রোভেট চীন থেকে পাঁচ টন বিটিআই আমদানি করে। চালানটি খালাসের জন্য গত ২৬ জুলাই বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তাইবোলি এন্টারপ্রাইজ। পরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র কাস্টমসে জমা দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের জেটি সরকার, জাকির হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমস হাউসের পক্ষে মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের কীটনাশক আমদানির লাইসেন্সের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হয়। গত ২২ আগস্ট অধিদপ্তর জবাবে কাস্টমসকে জানায়, মার্শালের জমা দেওয়া আমদানি লাইসেন্সের সঙ্গে তাদের দপ্তরে সংরক্ষিত লাইসেন্সের গরমিল আছে।

জানা গেছে, কাস্টমসে মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের জমা দেওয়া নথিপত্রে তাদের ‘সার্টিফিকেট অব রেজিস্ট্রেশন অব পেস্টিসাইড’ সনদে লাইসেন্স টু এনেঙার-এ এর ২৯ নম্বর ক্রমিকের বালাইনাশকটির নাম বিটিআই দেখানো হয়। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সংরক্ষিত মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের সনদে লাইসেন্স টু এনেঙার-এ এর ২৯ নম্বর ক্রমিকের বালাইনাশকটির নাম আছে ‘কোরাডেঙ-৫০ এসপি’। এর মধ্যে বিটিআই এর সক্রিয় উপাদান ‘ব্যাসিলাস থুরিংয়েইনসিস’ আর মার্শাল অ্যাগ্রোভেটের আমদানির অনুমতি থাকা ‘কোরাডেঙ- ৫০ এসপির’ সক্রিয় উপাদান ছিল ‘সাইরোমেজাইন’।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, কাস্টমস হাউসে মিথ্যা তথ্যাদি উপস্থাপনের মাধ্যমে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কাস্টমস আইনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিটিআই আমদানি করেছে। তাই বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জন্য মশার লার্ভা ধ্বংসের ওষুধ বিটিআই আমদানির মাধ্যমে মার্শাল অ্যাগ্রোভেট আলোচনায় আসে। মার্শাল দাবি করেছিল, তারা সিঙ্গাপুরের কোম্পানি বেস্ট কেমিক্যালস উৎপাদিত বিটিআই ডিএনসিসির হাতে তুলে দিয়েছে। তবে বেস্ট কেমিক্যালস জানিয়েছে, তারা মার্শালকে কোনো বিটিআই দেয়নি। এরপর মার্শালের জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হলে ডিএনসিসি মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর