• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

গোপালগঞ্জে ৬১.১৩% বোরোধান কাটা সম্পন্ন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

জেলায় মোট ৮১ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এরমধ্যে ৪৯ হাজার ৯১৭ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। সে হিসেবে এ জেলায় ৬১.১৩% বোরোধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮৪.১৭% ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮১.১১% ধান কাটা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৭.৪২%, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪৫.৫৯% ও কাশিয়ানী উপজেলায় ৪৫.৮৮% ধান কাটা শেষ হয়েছে। গত রোববার (৫ মে) পর্যন্ত এসব ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার এসব তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৮১ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৫৮ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৬২৩ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৮৮০ হেক্টর, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭৫ হেক্টর ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৬১৭ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ২২৬ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ৬ হাজার ২১১ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২১ হাজার ৫৯০ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৭ হাজার ২১৮ হেক্টরের বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জে দ্রুত ধান কাটার কাজ চলছে আজ মঙ্গলবারের (৭ মে) মধ্যে মোট ৬৬ % জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান । কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, এ উপজেলায় ২৬ হাজার ৬১৭ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়। এরমধ্যে ২১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। ধান কাটার শতকরা হার ৮১.১১%। আগামী ৪ দিনের মধ্যে এ উপজেলার শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পারচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ১৫ দিন আগে ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিল বেষ্টিত এ জেলার ৬১.১৩% ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন দিয়ে দ্রুত বিলের ধান কাটা হচ্ছে । আশা করা হচ্ছে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে। কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষাণী শিপ্রা রানী ভৌমিক বলেন, প্রচন্ড দাবদহের মধ্যে এ জেলায় ধান কাটা শুরু হয়। গরমে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এছাড়া শ্রমিকের পারিশ্রমিকও বেড়ে যায়। এ কারণে দ্রুত ধান কাটতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রিপার এবং কম্বাইন্ড হারবেস্টার দিয়েছে। এসব মেসিন দিয়ে দ্রত ধান কেটে মাড়াই ও ঝেড়ে ঘরে তুলতে পাড়ছি। এজন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর