• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৪  

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার কালন্দি খাল, জাজি গাং ও হাওড়া নদী দিয়ে প্রবেশ করায় কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেত, আউশ ধানের জমি, বীজতলাও। স্থানীয়রা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে পানি বাংলাদেশে নামতে শুরু করে। উজান থেকে নেমে আসা এ পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে হঠাৎ পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এতে উপজেলার দক্ষিণ ইউপির সীমান্তবর্তী কালিকাপুর, কেন্দুয়াই, মোগড়া ইউপির খলাপাড়া, ছয়ঘরিয়া, জয়নগরের নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেত, আউশ ধানের জমি, বীজতলা ও বেশ কয়েকটি পুকুরের মাছ। পানিবন্দি হয়ে আছে বেশ কয়েকটি পরিবার। উপজেলার কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা ও রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরোদিয়া ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম জানায়, গতকাল থেকে বাড়িতে পানি, রান্নাঘরেও পানি। মা কিছু রান্না করতে পারেনি। পানি থাকার কারণে খুবই কষ্ট হচ্ছে। অটোরিকশা চালক কেন্দুয়াই মেলার মাঠের বাসিন্দা ঈদন মিয়া, মালু মিয়া ও নিধু মিয়া জানান, গতকাল থেকে বেশ কয়েকটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। তাদের ঘরে চুলা জ্বালানোর মতো কোনো অবস্থা নেই। এ অবস্থায় গত দুই দিন ধরে অটোরিকশা চালাতে না পারায় তাদের আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে আছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আনন্দপুর গ্রামের মো. আকরাম ভূঁইয়া বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ আকস্মিক বন্যায় জাজি ব্রিজ সংলগ্ন আমার দুই বিঘা জমির সবজি ও ছোট একটি পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে করে আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মোগড়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে এ এলাকার খলাপাড়া, ছয়ঘরিয়া, জয়নগরের নিম্ন এলাকায় পানি বেড়েছে। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে পানি চলে যাবে। উপজেলা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবৎ আমি অসুস্থ। পানি আসার খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে পানিবন্দি পরিবারের তালিকা তৈরি করেছি। এখন উপজেলায় পাঠাচ্ছি। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন, নির্বাচনী কাজে জেলার বাঞ্চারামপুরে আছি। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর