• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

ড. ইউনূসসহ চারজন বিদেশে যেতে চাইলে আদালতকে জানাতে হবে : হাইকোর্ট

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদ- পাওয়া অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তা বিদেশে যেতে চাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করতে হবে বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।    
ড. ইউনুসসহ অন্যরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে দেয়া ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও অর্থদ-ের রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শকের আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। 
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- দিয়ে ১ জানুয়ারি রায় দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পর আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের জামিন দেন একই আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে চারজনকে জামিন দেয় ট্রাইব্যুনাল।
তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে রোববার হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়। আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, রায়ে দুটি দিক থাকে। একটি সাজা ও অন্যটি দ-। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন, যে কারণে বাদীপক্ষ সংক্ষুব্ধ। পুরো রায় স্থগিত করায় দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া সাজার রায় অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় সেনটেন্স (দ-) স্থগিত হয়। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 
খুরশীদ আলম খান বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা ও দ- বহাল হলো। তারা জামিনে থাকায় তাদের দ- আপাতত স্থগিত থাকছে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানিতে বলেন, শ্রম আদালতের পুরো রায় স্থগিত করা আপিল ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারের বাইরে।     
শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া সিদ্ধান্তের অংশবিশেষের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর