• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বিএনপি-জামাতের ধর্মঘট ও অবরোধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষয়ক্ষতি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৩  

বিএনপি-জামাতের অবরোধে শুধু যে মানুষের প্রাণহানি ও যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চলছে তাই নয়, বিরাট ক্ষতির শিকার হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি।

বিএনপি ও তাদের মিত্রদের টানা ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এর তথ্যানুসারে, হরতাল বা অবরোধের প্রতিটি দিন অর্থনীতিতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর মানে হল যে বিএনপি ও তার মিত্রদের দ্বারা পালিত হরতাল এবং পাঁচদিনের অবরোধে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি-জামাতের ৭ এবং ৮ নভেম্বর ঘোষিত অবরোধের দুই দিনের জন্য আরও ১৩ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। 

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিবহন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে বাস, ট্রাক, লঞ্চ, ট্রেন ইত্যাদি যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ফলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে, পণ্যের দাম বেড়েছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বাস, ট্রাক, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় মানুষ চলাফেরা করতে পারছে না। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া আমদানিকারকরা বন্দর থেকে পণ্য আনতে পারছে না। রপ্তানিকারকরাও তাদের পণ্য বিদেশে পাঠাতে পারছে না। ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দিয়েছে। বিক্রয় ৭০-৮০% কমেছে।

ধর্মঘট অবরোধের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। অনেক স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও খোলা থাকা স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঝুঁকির কারণে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে পর্যটকদের আগমন কমেছে। ফলে পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধর্মঘট ও অবরোধের ফলে বাংলাদেশের সমাজেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ ভয়ে ভীত।

এফবিসিসিআই ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠন বিএনপি-জামাতের ধর্মঘট ও অবরোধের নিন্দা করেছে। তারা এসব কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর