• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

যেন রক্তিম শিক্ষাঙ্গন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

পাহাড়, অরণ্য, ঝর্ণা কিংবা বিচিত্র প্রাণী- কি নেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে? প্রধান ফটকে প্রবেশের পরই জিরো পয়েন্ট থেকে দীর্ঘ কাটা পাহাড় রাস্তার দুই পাশ জুড়ে উঁচু পাহাড় ঘেঁষে নানা প্রজাতির বৃক্ষের নয়নাভিরাম দৃশ্যের দেখা মিলবে। তবে সেই সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রক্তিম রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুল। ক্যাম্পাসের চতুর্দিকে ফোটা কৃষ্ণচূড়ার ‘লাল সুন্দরী ফুল’ প্রকৃতির সব রঙকে যেন ম্লান করে দিয়েছে।
সবুজ চিরল পাতার মধ্যে রক্তিম পুষ্পরাজি, যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে প্রচণ্ড তাপদহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয়। পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরূপ সৌন্দর্য। 

গ্রীষ্মের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাস যেন আবীর বর্ণে রেঙেছে। সূর্যের সবটুকু উত্তাপ যেন কেড়ে নিয়েছে টুকটুকে লাল এই ফুল। ক্যাম্পাসের ট্রেন স্টেশনে ডালপালা ছড়ানো বিশাল আকৃতির কৃষ্ণচূড়া গাছটির শাখায় শাখায় রক্তবর্ণ ফুলের সমাহারে যেন অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সবাইকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ডানে-বাঁয়ে তাকালে কৃষ্ণচূড়া নজরে পড়বেই। তবে আইন অনুষদ, আইইআর ইন্সটিটিউট, কেন্দ্রীয় মসজিদ ছাড়াও টিচার্স কলোনীর ওখানে বেশি চোখে পড়ে।

শুধুই কি কৃষ্ণচূড়া ফুল? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখন ফুলে ফুলে রাঙা এক স্বর্গ। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই দেখা যায় নানা রঙের নানা গন্ধের ফুল। এর মধ্যে জারুল, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম, সোনালু, মধুমালতি, স্বর্ণচাঁপা ইত্যাদি ফুল আলোকিত করে রেখেছে পুরো ক্যাম্পাস।

নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা লিখেছিলেন, ‘বসন্তে কৃষ্ণচূড়া ফোটে না। আর ফুলের বাজারে কিন্তু কৃষ্ণচূড়া বিকোয় না।’ তবে একথা বলা বাহুল্য যে, বাজারে না বিকোলেও অনিন্দ্য সৌন্দর্যের আধার আগুন রাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য কিন্তু মুগ্ধ করছে সবাইকে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক বলেন, ক্যাম্পাসে প্রবেশ পথে কৃষ্ণচূড়ার অগ্নিরঙ হৃদয় কেড়ে নেয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে অজস্র লাল-লাল ফুল। কী অপূর্বই না সেই ফুলগুলো। বর্তমানে এই অপূর্ব ফুলে আচ্ছাদিত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। এই ফুটন্ত কৃষ্ণচূড়া ক্যাম্পাসের শ্রী বৃদ্ধি করেছে বহুগুণে। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে কৃষ্ণচূড়া যে রঙ ছড়িয়েছে তা চোখে না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল সুমন অনুভূতি প্রকাশ করেন, আমাদের ক্যাম্পাসে গ্রীষ্ম আর কৃষ্ণচূড়ার আগমন একই সঙ্গে ঘটে। কৃষ্ণচূড়া সেতো ভালোবাসা জাগানিয়া আরেক নিরন্তর বসন্তের অতিথি। সুখের প্রাণবন্ত প্রতীক ফাল্গুনীকে দেওয়া কথার প্রতিজ্ঞা।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর