শিশুর বয়স চার বছর পার হলেই যেতে পারবে স্কুল
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০
বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষায় বড় ধরনের সংস্কার হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে বয়স চার বছর পার হলেই শিশুরা স্কুলে যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা প্রাক্–প্রাথমিকে এক বছর পড়াশোনা করে। এরপর প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
প্রথম দফায় আগামী বছর দেশের ২ হাজার ৫৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হবে। পরে সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব বিদ্যালয়ে তা চালু হবে। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগকে যুগোপযোগী বলছেন। তবে তাঁরা এও বলছেন, এটি যেন পরীক্ষানির্ভর পড়াশোনা না হয়। খেলা ও আনন্দের মাধ্যমে যেন শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, তাদের নেওয়া এই সংস্কার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এ–সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়ে সই করেন। যেটি তাদের কাছে এসেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী বছর থেকেই নতুন এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আগামী সোমবার সভা করে কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, তার কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান বুরোর তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে পড়ে প্রায় পৌনে দুই কোটি ছেলেমেয়ে। সরকারি, এনজিও পরিচালিত আর কিন্ডারগার্টেনসহ সব মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে সোয়া লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে কিন্ডারগার্টেনগুলোয় অনেক কম বয়সী শিশুদেরও ভর্তি করা হয়। তবে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের এক বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিকে এবং ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়।
দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে প্রাথমিকে ঝরে পড়া কমেছে। ২০১০ সালে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সেটি কমে ২০১৯ সালে হয় প্রায় ১৮ শতাংশ। প্রাক্–প্রাথমিক শিক্ষা চালুর পর থেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির হার, প্রাথমিকের শিক্ষাচক্র সমাপনী ও উপস্থিতির হার এবং সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হারও বেড়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতিতেও পর্যায়ক্রমে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্–প্রাথমিক শিক্ষা চালুর কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা–২০৩০–এ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইউনেসকোর ২০১৬ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উন্নত বিশ্বের ৫২ শতাংশ দেশে তিন বছর মেয়াদি ও ৩৩ শতাংশ দেশে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা আছে। জাপান, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুরসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতেও প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, সরকারিভাবে দেশে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু না থাকায় শহর ও গ্রামের মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রসার যেমন ঘটছে, তেমনি অসম প্রতিযোগিতা ও বৈষম্য বাড়ছে। শিক্ষার ব্যয়ও বাড়ছে। গণসাক্ষরতা অভিযানের করা এডুকেশন ওয়াচের–২০১৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার ব্যয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় নয় গুণ বেশি। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিশুরা খেলবে, কথা শিখবে, গাইবে, স্কুলের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হবে–ব্যবস্থাটি যদি এমন হয়, তাহলে দুই বছর মেয়াদি প্রাক্–প্রাথমিক শিক্ষা ভালো হবে। আর যদি একজন শিক্ষক দিয়ে শিশুদের কেবল একটি রুমে আটকে রেখে শেখানোর চেষ্টা হয়, তাহলে দুই বছর না করাই ভালো।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘আমি মনে করে এটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। তবে এটি যেন পরীক্ষানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা না হয়। খেলতে খেলতে শিশুরা যেন পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট হয়।’ তিনি বলেন, এর ফলে তিন ধরনের সুবিধা হবে। প্রথমত, শিশুদের স্কুলগামী করা যাবে। এতে ঝরে পড়া কমবে। দ্বিতীয়ত, স্কুলের প্রতি অভিভাবকদের সংযুক্ততা বাড়বে। তৃতীয়ত, শিক্ষকেরাও শিশুদের প্রতি যত্মশীল হওয়ার প্রস্তুতিটি নিতে পারবেন, যা পরবর্তী শ্রেণিতেও কাজে লাগবে।
যেভাবে বাস্তবায়ন হবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন অংশীজনদের মতামত নিয়ে দুই বছর মেয়াদি এই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড শিক্ষাক্রম ও শিখণ সামগ্রীর উন্নয়ন করবে। প্রথম পর্যায়ে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ২ হাজার ৫৮৩টি বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি এই শিক্ষা চালু হবে। পরে এর ফলাফল পর্যালোচনা করে তার ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি (তিন থেকে চার বছর) পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই সময়ে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিশুদের যত্নের জন্য প্রতি বিদ্যালয়ে একজন করে আয়া নিয়োগ করা হবে।
গ্লোবাল পার্টনার ফর এডুকেশন থেকে ৫৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলনের কাজে ব্যবহার করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ
- মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেওয়া যাবে : প্রধানমন্ত্রী
- পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- তৃতীয় কিস্তিতে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার দেবে আইএমএফ
- জুলাইয়ে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই খরচ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
- দরপত্র কিনেছে বিশ্বসেরা ৭ প্রতিষ্ঠান
- দুই দেশ থেকে ১৩৫০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
- ১৭৬ দেশে কাজ করছেন ১ কোটি ৬৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি
- ‘রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে’
- প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান
- মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে : প্রধানমন্ত্রী
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ওয়াজেদ
- প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী যারা
- সাংবাদিক নাদিম হত্যা: মাহমুদুল বাবুর জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- আওয়ামী লীগের যৌথ সভা শুক্রবার
- নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক : ওবায়দুল কাদের
- ফাইন্যান্সিয়াল ওভারসাইট কমিটির কনসালটেশন সভা উদ্বোধন স্পিকারের
- গ্রাহকের অজান্তে মোবাইলের ব্যালেন্স কাটা হলে কঠোর ব্যবস্থা
- সংসদের অধিবেশন মুলতবি
- ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল গ্রেফতার
- রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মানবিক আবেদন
- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধিদলের বৈঠক
- বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী
- এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : খাদ্যমন্ত্রী
- কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার নির্মাণ করবে সরকার
- জঙ্গি ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন ১০ জুন
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- আজ ৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস
- এপ্রিলেই প্রকাশ হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল!
- স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে স্যামসাং
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- জামালপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- মেলান্দহে সম্পত্তির বিরোধে বৃদ্ধ খুন : আটক-৩