চেরাগ থাকলেও নেই পাহাড়, নাম তার ‘চেরাগী পাহাড়’
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর একটি চেরাগী পাহাড়। পাহাড়টির ওপর প্রথম চেরাগ জ্বালান বদর শাহ নামে এক পীর। চেরাগ জ্বালিয়ে তিনি দৈত্যদানব ভরা এ শহর থেকে দূর করেন অশুভ আত্মা। এরপর থেকে এ পাহাড়ের নাম হয় চেরাগী পাহাড়।
নামে চেরাগী পাহাড় হলেও বর্তমানে এখানে পাহাড়ের কোনো ছিটেফোঁটা নেই। আছে কৃত্রিমভাবে বানানো একটি চেরাগ। আর চারপাশে গড়ে উঠেছে সারি সারি দালান। শুধু চেরাগী পাহাড়ই নয়, চট্টগ্রামের আরো এমন অনেক স্থানের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পাহাড় শব্দটি।
চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চেরাগী পাহাড়ের প্রাচীন ইতিহাস। যা এখন অনেকটা হারানোর পথে। সাংবাদিক ও চিকিৎসকপাড়া হিসেবে পরিচিত এ চেরাগী পাহাড়ের গৌরবগাঁথা সেই ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এর রূপ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে।
কথিত আছে, অতীতে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব দেশ থেকে ভাসমান একখণ্ড পাথরের ওপর আরোহণ করে পূর্ব দেশে রওনা হন সুফি সাধক বদর শাহ। সেই পাথরখণ্ডটি নিয়ে একদিন তিনি কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর যে স্থানে তিনি পাথরটি থেকে নামেন, সেই স্থানটির নামকরণ হয় ‘পাথরঘাটা’। তখন পুরো চট্টগ্রাম শহর ছিল জনমানবহীন গভীর অরণ্যে আবৃত। ছিল জিন-পরীর আবাসস্থল। পাথরখণ্ড থেকে নেমে তীরে উঠে আসেন বদর শাহ। মাটির চেরাগ হাতে নিয়ে গভীর বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়ে একটি পাহাড়ের ওপর উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় তাকে বাধা দেয় জিন-পরীরা।
পথ আটকে তারা তাকে বলে, কে আপনি আমাদের মুল্লুকে অনধিকার ঢুকেছেন? এখানে কোনো মানুষের স্থান হবে না। বদর শাহ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি একজন সংসারবিরাগী বৃদ্ধ। আল্লাহর এবাদত-বন্দেগী করার মানসে এখানে এসেছি। আমাকে এখানে থাকার স্থান দাও। কিন্তু জিন-পরীরা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। এভাবে কথা কাটাকাটি চলতে চলতে দিন গড়িয়ে রাত নেমে আসে।
রাতের অন্ধকারে চেরাগটি রেখে জ্বালানোর স্থানটুকু চান বদর শাহ। এতে জিন-পরীরা রাজি হয়। এরপর চেরাগটি পাহাড়ের ওপর রেখে নিজের পকেট থেকে দুটি চকমকি পাথর বের করেন বদর শাহ। পাথর দুটির ঘর্ষণে আগুন বের করে চেরাগটি জ্বালিয়ে দেন।
দেখতে দেখতে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছিল চেরাগের আলো। সে আলো এমন তীব্র তেজ বিকিরণ করতে থাকে যে, সব জিন-পরীরা জ্বালা-যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করে। কিন্তু তারা এর কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিকার করতে পারল না। কারণ তারাই বদর শাহকে চেরাগ রাখার স্থান দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত চেরাগের সেই অলৌকিক আলো সহ্য করতে না পেরে চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যায় জিন-পরীরা। এরপর আবাদ হয় চট্টগ্রাম। বদর শাহর চেরাগ রাখা সেই পাহাড়ের নাম হয় ‘চেরাগী পাহাড়’।
ঐতিহাসিক যুগের প্রারম্ভকাল থেকে প্রায় হাজার বছর কাল আরাকান অধিকারভুক্ত ছিল চট্টগ্রাম। ফলে চট্টগ্রামের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতিতে আরাকানি প্রভাব বেশ পরিলক্ষিত হয়।
রেডিও বাংলাদেশ চট্টগ্রামের পাহাড়িকা অনুষ্ঠানের তৎকালীন সহকারী উপ-প্রযোজক আরাকানি ভাষী উ-চ-নু ও মং উসাংয়ের মতে, চেরাগী পাহাড় নামটি আরাকানি নামের অপভ্রংশ। আরাকানি ভাষায় এর নাম ‘চারেগ্রীটং’। ‘চারেগ্রী’ ও ‘টং’ দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে ‘চারেগ্রীটং’ নামের উৎপত্তি। এখানে ‘চারেগ্রী’ শব্দের অর্থ প্রধান হিসাবরক্ষক ও ‘টং’ অর্থ পাহাড়। দুটি মিলে হয় প্রধান হিসাবরক্ষকের পাহাড়।
আরাকানি শাসনামলে সম্ভবত চট্টগ্রামের এ পাহাড়েই ছিল তাদের প্রধান হিসাবরক্ষক কিংবা দেওয়ানের চারেগ্রীর বাসস্থান। ফলে পাহাড়টিকে চারেগ্রী পাহাড় নামে খ্যাত করে চট্টগ্রামের অধিবাসীরা। কালক্রমে নামটি অপভ্রংশ হয়ে চেরাগ্রী পাহাড় ও পরে চেরাগী পাহাড় হিসেবে খ্যাত হয়।
চট্টগ্রামে মুসলমানদের বিজয়ের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁর সুলতান ফকরউদ্দিন মুবারক শাহর আমলে আরাকানিদের বিতাড়িত করে সোনারগাঁর মুসলমান রাজ্যভুক্ত হয় চট্টগ্রাম।
১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে মরক্কোর পরিব্রাজক ইবনে বতুতা চট্টগ্রামে আসেন। তিনি তার ভ্রমণকাহিনিতে সুলতান অধিকৃত চট্টগ্রামের শাসনকর্তা শায়েদা সুলতানের ছেলেকে হত্যার ঘটনা লিপিবদ্ধ করলেও বদর শাহর অলৌকিক আলোতে জিন-পরী বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম বিজয়ের কথা লিখেননি।
১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে কবি মোহাম্মদ খাঁ বিরচিত মক্তুল হোসেন কাব্যেও আত্মকথার পিতৃকুল পরিচিতিতে বর্ণনা করেছেন, মগদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন সেনাপতি কদল খান গাজী। এতে কদল খান গাজীকে সহায়তা করেন বদর শাহ। কিন্তু বদর শাহর অলৌকিক আলোতে জিন-পরী বিতাড়িত করার কথা তিনিও লিখেননি। ফলে অনেকের মতে, বদর শাহর অলৌকিক চেরাগ ও জিন-পরী বিতাড়িত করার ঘটনা একটি আষাঢ়ে গল্প।

- যৌন নির্যাতন-সহিংসতা: ৯৯৯ এ প্রতিদিন আসছে অর্ধশতাধিক কল
- কমেছে কার্ডে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন
- ৮২ বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান
- দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য : শেখ হাসিনা
- সরকারের বিশেষ কিছু পদক্ষেপে কর্মসংস্থান বেড়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
- দেশে আরো ৪ জনের করোনা শনাক্ত
- পদ্মাসেতুতে বসেছে রেললাইনের শেষ স্লিপার
- টেকসই উন্নয়নে শান্তি-স্থিতিশীলতা ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন
- হোয়াটসঅ্যাপে নতুন যা যুক্ত হলো
- মালকা বানুর মায়ের নামেই ‘সাহেববিবি মসজিদ’
- সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন
- ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আবার সক্রিয় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে সরকার
- তিনবার বিয়ে ভাঙার পরও কাকে কাছে চাইছেন শ্রাবন্তী?
- পি কে হালদারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য অব্যাহত
- ঈদে নতুন নোট যেদিন থেকে পাওয়া যাবে
- ফেসবুক পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে দেবেন! কিন্তু কেন?
- শসা খোসাসহ খেলেই ভালো
- কর্ণফুলী গ্রুপে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ, কর্মস্থল ঢাকা
- রোজার কোনো ক্ষতি হয় না যেসব কাজে
- উৎসবমুখর হবে নববর্ষ উদযাপন, আছে নিষেধাজ্ঞাও
- কোটালীপাড়ায় এক সঙ্গে ১২০০ শিশুর জন্মদিন উদযাপন
- তরমুজ ক্ষেতে আটকা ১৪ মণের ‘শাপলা পাতা’ মাছ
- ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন গ্রাহকরা
- বানাতেন ভুয়া এনআইডি-পাসপোর্ট, রোহিঙ্গারাই গ্রাহক
- মাটিরাঙ্গায় ১০ বস্তা বিদেশি ওষুধসহ যুবক আটক
- সৌদি আরবে নিহত রুপ মিয়ার বাড়িতে শোকের মাতম
- গাজীপুরে ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার, গ্রেফতার ১০
- মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
- পলাশে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব পেল ১৪৪ শিক্ষার্থী
- বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ই-গেট উদ্বোধন
- বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস অ্যান্টনি ব্লিনকেনের
- খেলাপি ঋণ কমাতে নীতিতে আরও ছাড়
- বিমার টাকা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক অংশীদারিত্বে ৫ অগ্রাধিকার তুলে ধরলেন শেখ হাসিনা
- দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী
- ইলিশ উৎপাদন ৬ লাখ টনে পৌঁছার লক্ষ্যে ২ মাস মাছ ধরা নিষেধ
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বের কার্যকর চাপ চায় বাংলাদেশ
- “রংপুরে বিএনসিসি’র এক্স ক্যাডেটস মিলনমেলা-২০২৩ অনুষ্ঠিত”
- জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে পাঁচটি সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- একটি শক্তি সবসময় ধর্মকে ব্যবহার করছে: রেলমন্ত্রী
- ২৪ দিনে ১৪ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স
- বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করুন
- দিনে সরবরাহ ১৩ লাখ লিটার বিশুদ্ধ পানি
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির বিষফোঁড়া: ওবায়দুল কাদের
- কিছু চিকিৎসক শুধু টাকা কামাতেই ব্যস্ত: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার মানেই মানুষের ওপর অত্যাচার: প্রধানমন্ত্রী
- সময়ের আগেই কাজ শেষ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের
- নিউইয়র্কে ১৪ জুলাই থেকে শুরু হবে চার দিনব্যাপী বাংলা বইমেলা
