• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

গাড়ির টায়ারে ‘হুল’ কেন থাকে? জানেন কি?

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২৩  

নতুন টায়ারের দিকে একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন, এর গাঁয়ে কাঁটার মত কিছু একটা। হোক সে সাইকেল কিংবা বাস-ট্রাকের টায়ার, সবগুলোর গায়েই কিন্তু হুল থাকে! এগুলোও কিন্তু রাবারের অংশ। যাকে ভেন্ট স্পিউ বলা হয়। কখনো কি মনে প্রশ্ন এসেছে এগুলো কেন থাকে টায়ারে? 

 

তবে কি এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়? যদিও এই কাঁটার মত অংশগুলো টায়ারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় না। এগুলো মূলত একটি টায়ার কিওর করার সময় তৈরি হয়। টায়ার কিওরিং হচ্ছে একটা পদ্ধতি যেখানে নরম রাবার দিয়ে তৈরি গ্রীন টায়ারকে চাপ ও তাপের সাহায্যে ভোল্কানাইজ করে কার্যকরী রূপে আনা হয়।

 

টায়ার কিওর করার সময় যে জিনিস গুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছে-

টায়ার মোল্ড: এটা ধাতুর তৈরি একটা ছাঁচ। এটা দুই বা ততোধিক অংশে আলাদা করা যায় এবং এর মধ্যে গ্রীন টায়ারকে ঢুকিয়ে অংশগুলোকে জোড়া দিয়ে ছাঁচটা পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।

 

গ্রীন টায়ার: টায়ার তৈরিতে ব্যবহৃত অংশগুলোকে যেমন বীড, রাবার প্লাই, স্টীল বেল্ট ইত্যাদিকে একত্রিত করে টায়ারের একটা প্রথমিক রুপ দেয়া হয়। কিওর করার সময় গ্রীন টায়ার ছাঁচের ভেতর থাকে। গ্রীন টায়ারের রাবার নরম অবস্থায় থাকে।

 

টায়ার কিওরিং ব্লাডার: এটি রাবারের তৈরি। কিওর করার সময় ব্লাডারটাকে গ্রীন টায়ারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়। টায়ার কিওরিং প্রক্রিয়াটা একটা টায়ার কিওরিং প্রেস এর মধ্যে ঘটানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় গরম জল বা বাস্প ব্লাডারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে গ্রীন টায়ারের উপর উচ্চ চাপ ও তাপ প্রয়োগ করা হয়। ফলে গ্রীন টায়ারটা ছাঁচের আকৃতি পায়। সঙ্গে সঙ্গে ভোল্কানাইজ হয়ে এটা টায়ারের পূর্ণ আকৃতি ও শক্তি পায়।

 

এই প্রক্রিয়ার সময় কিছুটা বাতাস গ্রীন টায়ার ও ছাঁচের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। পরবর্তীতে এই বাতাসটুকু বের করে না দিলে তৈরিকৃত টায়ারের মধ্যে কিছুটা খুঁত থেকেই যায়। বাতাস বের করার জন্য ছাঁচের মধ্যে কিছু সুক্ষ সুক্ষ ফুটো রাখা হয়। এগুলোকে স্পিউ হোল বা ভেন্ট স্প্রুস বলে। কিওর করার সময় প্রচন্ড চাপ ও তাপে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা রাবার স্পিউ হোল দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলই হলো টায়ারের গাঁয়ের হুঁল সদৃশ রাবারগুলো।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর