• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

আজ কবিগুরুর জন্মদিন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩  

বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে আজ সোমবার। বাঙালির আনন্দের বার্তাবহ দিন পঁচিশে  বৈশাখ। বাঙালির মননের সঙ্গী ও পথের দিশারী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী। এমনই শুভক্ষণে জন্মেছিলেন কবি/পৃথিবীর বুকে সৃজন করেছিলেন সৃষ্টিশীলতার প্রতিচ্ছবি-এভাবেই বলা যায় বিশ্বকবির জন্মদিনে। আর নিজের জন্মদিন নিয়ে কবির কবিতা বলে যায়- ওই মহামানব আসে/দিকে  রোমাঞ্চ লাগে/মর্ত্যধূলির ঘাসে ঘাসে.../ উদয় দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে/মোর চিত্ত মাঝে/চির নূতনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে ধরণীর বুকে রবির কিরণ ছড়িয়ে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মেছিলেন শিল্প-সাহিত্যের দেবশিশু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাবা  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মা সারদা দেবী। ইংরেজি পঞ্জিকা অনুযায়ী কবিগুরুর  জন্ম তারিখ ১৮৬১ সালের ৭ মে।

বিশ্বকবির জন্মদিন উদ্যাপন বাঙালির আত্মপরিচয়ে দীপ্ত হওয়া ও আগামীর পথচলার অনুপ্রেরণা সৃষ্টির এক অপরিমেয় উৎস।  সেই সুবাদে আজ বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদ্্যাপন করবে মননকে আলোড়িত করা কবির জন্মদিন। জাতীয় পর্যায়ে কবির স্মৃতিধন্য শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসর ও দক্ষিণডিহিতে অনুষ্ঠিত হবে সরকারি আয়োজনে নানা অনুষ্ঠান। রাজধানী ঢাকায় সরকারি পর্যায় ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করবে। দৈনিক পত্রিকাগুলো গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করবে কবির জন্মদিনের সংবাদ থেকে প্রবন্ধ কিংবা নিবন্ধ।  সরকারি-বেসরকারি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বিস্ময়কর প্রতিভার বিচ্ছুরণে নিজেকে কবিগুরু  থেকে বিশ্বকবিতে পরিণত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির চিন্তা-মনন-অনুভূতির এমন  কোনো ক্ষেত্র নেই  যেখানে  তার সৃষ্টিশীলতার  ছোঁয়া পড়েনি। আপন সৃষ্টির নির্যাসে সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের পথে ধাবিত করেছেন জাতির মননকে। বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতি বিনির্মাণের অগ্রপথিক এই কবি। তাই জন্মের  দেড়শ’ বছর পরও শিল্প-সাহিত্যের সকল শাখাতেই দীপ্তিমান বিশ্বকবি। আজও তার সৃষ্টিসমগ্র ভাবনার বীজ বুনে  দেয় সাহিত্য ও শিল্প অনুরাগীর হৃদয়ের গহিনে। আর এই সৃষ্টি দিয়েই বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে জাতীয়তার গন্ডি  পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতার সীমানায় পৌঁছে দিয়েছেন এই কবি। আনন্দ-বেদনা কিংবা সংকটে বার বার বাঙালির সহায় হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সুবাদে বলা যায়, যখন চারপাশে শুধুই অন্ধকার তখন পথের দিশারী হয়ে ওঠেন রবীন্দ্রনাথ।


অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন সমাজ ব্যবস্থার রূপকার রবীন্দ্রনাথ আজও বাঙালিকে  দেখান পথের নিশানা।  সেই বাস্তবতায় রবীন্দ্র সংস্কৃতির বহু ধারা ও সৃজনে স্নাত হওয়ার মাঝেই দীপ্যমান বাঙালির অগ্রযাত্রা ও বিকশিত হওয়ার সাধনা। বাঙালীর প্রত্যয়ী যাত্রাপথের সকল বাঁকেই রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি বিরাজমান। বাঙালির প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণের সঙ্গে মিশে আছেন তিনি। এ কথার সুর ধরে বলতে হয়- আমার চোখে ঝলমলে দিন কিংবা নিকষ রাত/কেউ থাকে না সঙ্গে শুধুই আমার রবীন্দ্রনাথ। সব মিলিয়ে বাঙালির সংস্কৃতিচর্চা ও চেতনার এক অনন্য বাতিঘর রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির গান, কবিতা, গল্প, নাটক, চিত্রকলা, বিজ্ঞানমনস্কতা,  লোকসাহিত্য চর্চা কিংবা ভাষাবিজ্ঞানÑকোথায় ছিলেন না তিনি? মহাসমুদ্রের মতো বিশাল ও বিস্তৃত পরিসরের সৃষ্টির আলোয় আলোকিত করেছেন বাঙালির মনন, চিন্তা-চেতনা ও ভাবনার ভুবনকে। আর রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলেও পরোক্ষভাবে  রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। ব্রিটিশ আমলে নানাভাবে ভারতীয় মধ্যবিত্তের মাঝে জাগিয়ে তুলেছেন স্বাধীনতার স্পৃহা। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন সাংস্কৃতিকভাবে। প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইট উপাধি। বাঙালির অখন্ডতা রক্ষায় সক্রিয় ও সোচ্চার হয়ে অংশ নিয়েছেন বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ আন্দোলনে। এমনকি তার অসীম সৃষ্টি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনতা। সমাজ কল্যাণে ব্রতী হয়ে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণকে শিক্ষিত করে  তোলার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। গ্রামীণ মানুষের জীবন উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন কৃষি ব্যাংক। এসবের বাইরে সামাজিক  ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর তার দর্শন চেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে মানব কল্যাণের বাণী।


বঙ্গীয় শিল্প-সাহিত্যের আধুনিকীকরণে রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় রূপকল্পের দুর্বোধ্যতা ও কঠোরতাকে বর্জন করেন। নানা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়কে উপজীব্য করে রচিত হয়েছে তার উপন্যাস, ছোটগল্প, সঙ্গীত, নৃত্যনাট্য ও প্রবন্ধ। কবিতায় এনেছেন নতুন মাত্রা, দিয়েছেন প্রাণের ছোঁয়া। এ কারণেই কালের পরিক্রমায় উত্তীর্ণ বিশ্বনন্দিত সাহিত্যিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ। তার বহুল পরিচিত গ্রন্থগুলো হলো গীতাঞ্জলি, গোরা, ঘরে বাইরে, রক্তকরবী, মানসী, বলাকা, সোনার তরী, পূরবী,  শেষের কবিতা ইত্যাদি। কবিগুরুর কাব্য, ছোটগল্প ও উপন্যাস গীতিধর্মিতা, সহজবোধ্যতা, ধ্যানগম্ভীর প্রকৃতিবাদ ও দার্শনিক চিন্তাধারার জন্য প্রসিদ্ধ। বিশ্ববাসীর জন্য কবিগুরু উপহার দিয়েছেন হৃদয়ে অনুরণন সৃষ্টিকারী কয়েক হাজার শ্রুতিমধুর গান। এভাবেই সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে সাহিত্য ও শিল্পানুরাগীদের সর্বোপরি বাঙালীর হৃদয়ের শিকড়ে বেঁচে আছেন রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার কবিতার চরণ ধরেই বলতে হয়Ñতুমি যে তুমিই, ওগো/সেই তব ঋণ/আমি মোর প্রেম দিয়ে/শুধি চিরদিন ...।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। তিনি প্রধানত কবি। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। বাঙালি সমাজে তার রচিত সংগীতের জনপ্রিয়তা এত বছর পরও তুলনাহীনভাবে বাড়ছে। তিনি দুই হাজার গান রচনা করেন। অধিকাংশ গানে সুরারোপ করেন। তার সমগ্র গান ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে রয়েছে। কবির লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। ভারতের জাতীয় সংগীতটিও কবির লেখা। জীবিতকালে তার প্রকাশিত মৌলিক কবিতাগ্রন্থ হচ্ছে ৫২টি, উপন্যাস ১৩, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ ৩৬টি, নাটকের বই ৩৮টি। কবির মত্যুর পর বিশ্বভারতী থেকে ৩৬ খন্ডে ‘রবীন্দ্র রচনাবলি ’ প্রকাশ পেয়েছে।  ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’।  সে সময় থেকেই কবির বিভিন্ন ঘরানার লেখা দেশ-বিদেশে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘গীতাঞ্জলি’। এই বইয়ের জন্য কবি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া ১৯ খন্ডের রয়েছে ‘রবীন্দ্র চিঠিপত্র’। ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত কবির আঁকা চিত্রকর্ম’র সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে ১৫৭৪টি চিত্রকর্ম শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। কবির প্রথম চিত্র প্রদর্শনী দক্ষিণ ফ্রান্সের শিল্পীদের উদ্যোগে ১৯২৬ সালে প্যারিসের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী ॥ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।  সেই বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিভূ। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তিনি সগৌরবে বিচরণ করেছেন এবং রেখেছেন স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত অবদান। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস ও ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভাববাদী চেতনার সমন্বয় সাধন করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন। বিশ্বে জঙ্গিবাদ, উগ্রতা, জাতীয়তাবোধের সংকীর্ণতা, শ্রেণিবৈষম্য, জাতিতে জাতিতে ও ধর্মে ধর্মে হানাহানি প্রতিরোধে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীল কর্ম আজো মানবজাতিকে আলোর পথ দেখায়। তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গে অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন সমাজসংস্কারক হিসেবে। তার জমিদারির দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি চালু এবং ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন পরবর্তীকালে গ্রামীণ উন্নয়নে একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। তার জীবনাদর্শ ও সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে চিরদিন বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল প্রেরণার বিশেষ উৎস। শাশ্বত বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ- বেদনা অর্থাৎ সকল অনুভব বিশ্বস্ততার সঙ্গে উঠে এসেছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছাতেই রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আমাদের জাতীয় সংগীত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংকট উত্তরণে প্রেরণা নিতেন রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে।

রবীন্দ্রজয়ন্তীর নানা আয়োজন ॥ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য  নওগাঁর পতিসরে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্্যাপিত হবে বিশ্বকবির জন্মদিন। দিবসটি উদ্যাপনে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আজ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সকালের বাংলা একাডেমির আয়োজনে   আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় আয়োজিনে   রবীন্দ্র পুরস্কার ২০২৩ প্রদান  করা হবে। এ অন্ষ্ঠুানে একক বক্তৃতা করবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।  ছায়ানেটের আয়োজনে  অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র উৎসব। নাচ-গান ও কবিতায় সজ্জিত আয়োজনটি সোম ও মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর