• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

বিদেশ ফেরত কর্মীদের জন্য তৈরি হচ্ছে তথ্যভান্ডার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৩  

প্রতি বছর কতজন কর্মী বিদেশ যাচ্ছেন সেই তথ্য থাকলেও, কত কর্মী দেশে ফেরত আসছে সেই তথ্য কোথাও নেই। আর প্রথমবারের মত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সেই তথ্যভান্ডার তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে ‘করোনার কারণে বিদেশ ফেরত কর্মীদের জন্য প্রকল্পের কার্যক্রম ও সুযোগ-সুবিধা অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।

মতবিনিময় সভায় প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, “আমরা প্রতিবছর কত কর্মী পাঠাই বা ঐতিহাসিকভাবে কত কর্মী পাঠিয়েছি সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। কিন্তু প্রতি বছর কতজন কর্মী ফেরত এসেছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। প্রথমবারের মতো আমরা সেই তথ্যভান্ডার তৈরি করতে যাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ‘রেইন্ট্রিগেশন অব রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস- রেইজ’ প্রকল্পের আওতায় আমরা এই তথ্যভান্ডার তৈরি করবো। যাতে পরর্বীতে তারা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার বলয়ের ভিতরে সহজে আসতে পারেন।”

 এ সময় তিনি বলেন, “বিদেশফেরত কর্মীরা সমাজে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হোন। তাই তাদের পুণঃএকত্রীকরণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রেইজ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকাসহ দেশের ৩০টি স্থানে বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪২৫ কোটি টাকা বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।”

সচিব আরো বলেন, “যেসকল কর্মী বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দেশে ফেরত এসেছেন তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তাদেরকে প্রণোদনাও দেয়া হবে। তবে এই প্রণোদনা ফেরত আসা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ হিসেব নয় বরং এর মাধ্যমে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সামাজিকভাবে কানেক্টে করা। যাতে করে তারা সমাজে নিজেকে পুন:প্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণ ও আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।”

মতবিনিময় সভায় ‘রেইন্ট্রিগেশন অব রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস- রেইজ’ প্রকল্পের কাযক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের পরিচালক সৌরেন্দ্র নাথ সাহা। তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ফেরত কর্মীদের দক্ষতা সনদ প্রদান করা হবে। যা তাঁদের কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। আর প্রথমে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী কর্মী সংখ্যা ০২ লাখ। যাঁদের প্রত্যেককে এককালীন সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে মোট ২৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হবে। গত ৪ মাসে ৫৯ হাজার কর্মী রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হয়েছে।’

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন সহ মন্ত্রনালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর