• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

​​​​​​​সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হবে, চ্যালেঞ্জের শুরু

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  

নতুন মন্ত্রিসভার যাত্রা শুরু হলো। বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণের পর প্রথম কর্মদিবস রবিবার নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা দপ্তরে আসেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বরণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফুলের তোড়া নিয়ে অপেক্ষা করেন ভবনের নিচে। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা এলে তাদের নিয়ে দপ্তরে যান সচিবসহ কর্মকর্তারা। প্রথম দিনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বুঝে নেন মন্ত্রণালয়ের খুঁটিনাটি বিষয়। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক। সেখানে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রথম দিনেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

সকাল ৯টা থেকে সচিবালয়ে আসতে থাকেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ। একে একে গাড়ির বহর ঢুকতে থাকে। সকালে সচিবালয়ের চিত্রটা ছিল আনন্দ মেলার মতো। কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীদের ছোটাছুটিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে সচিবালয়ের প্রতিটি আঙিনা। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সচিবসহ কর্মকর্তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়  নতুন মন্ত্রিদের বরণ করতে। হাতে ফুলের তোড়া। ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ফুলের দোকানে দেখা দেয় ফুলের সংকট। কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাইরের অনেকেই সচিবালয়ে ছুটে আসেন প্রিয় মন্ত্রীকে বরণ করতে। রবিবার সচিবালয়ের সর্বত্রই ছিল মিষ্টি বিতরণের ছড়াছড়ি। সব মিলিয়ে নতুন মন্ত্রিসভার যাত্রার প্রথম দিন সচিবালয় ছিল উৎসবমুখর। দপ্তরে বসে পরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নতুন মন্ত্রীরা। সেখানে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি দয়িত্বপালনে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও তুলে ধরেন।

যারা আগে অনেক ধরনের কথা বলেছে, দুই-চারদিন ধরে তাদের সুর পাল্টে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ হওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তবে কাদের উদ্দেশ করে এ বক্তব্য দিয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী। দেশী-বিদেশী চাপ, ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বিএনপি পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুলেছে। এ পরিস্থিতিতে সামনে আপনার কী চ্যালেঞ্জ- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী যেটা বলেছেন যথার্থই বলেছেন। অনেক বৈদেশিক চাপ আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী নেতা। তিনি মাথানত করে কারও সঙ্গে কথা বলেন না, তিনি মাথা উঁচু করে থাকেন এবং হৃদয় দিয়ে বাংলাদেশকে ভালোবাসেন বলেই এই সমস্ত চাপ তার কাছে কোনো চাপ নয়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে তাঁর দক্ষতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে এসব মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, দুই-চারদিন ধরে আবার আমরা এটাও লক্ষ্য করছি, যারা অনেক ধরনের কথা বলেছে, তাদের সুর আবার পাল্টেও যাচ্ছে। একটু একটু করে তারা আবার ভিন্ন সুরেও কথা বলছে। এ সবই হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা ও বিচক্ষণতা। তাঁর যে দূরদর্শী সিদ্ধান্তগুলো এগুলো তার মূল কারণ।

প্রকল্প শেষে পরিবহন পুলে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে তা দ্রুত সম্পন্ন করার ঘোষণা দিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের চলমান প্রকল্পগুলো গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে, এ ছাড়াও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গৃহীত প্রতিটি প্রজেক্টের কোয়ালিটি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের কর্মপরিকল্পনা দরকার তা করা হবে।  নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে কাজ করলে তা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে একটি ইশতেহার দিয়েছে এবং জনগণ সেজন্য নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে, তাই সে ইশতেহার অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলতে হবে। অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব অধিদপ্তর দেশ ও মানুষের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। পদোন্নতি  পেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন ফরহাদ হোসেন বলেন, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হবে। আগামী পাঁচটি বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ইশতেহারে কর্মসংস্থান  তৈরি করার বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রতি বছর ২০ লাখ করে আমাদের কর্মসংস্থান হবে। সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।

দেশে বেকারের সংখ্যা এখন তিন শতাংশ জানিয়ে তিনি বলেন, সেটাকে আমরা আরও কমাতে পারি, একটা সন্তোষজনক অবস্থায় নিতে পারি। আগামী দিনগুলোতে দক্ষ জনশক্তি গড়ার দিকে আমরা বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাজ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে জনগণের কাছে আমাদের অঙ্গীকারের কথা বলা আছে। আমার প্রথম কাজ হবে এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা। এভিয়েশন খাতে অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। আমার কাজ হবে আমার অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে কাজগুলো সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের মান আরও উন্নত করা এবং নতুন নতুন লাভজনক গন্তব্যে বিমানের রুট চালু করা। ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। পর্যটনের এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশে নতুন নতুন পরিবেশবান্ধব ও আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করব। পর্যটন শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বেসরকারি খাতে অনেক কাজ হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি স্মার্ট মিনিস্ট্রি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

নিজে পরিচ্ছন্ন থাকব, সবাইকে পরিচ্ছন্ন থাকার আহ্বান জানাব বলে উল্লেখ করেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, আমাদের যে সমস্ত কর্মকর্তা রয়েছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে একটি টিম হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমরা কাজ করব। আগের ভূমিমন্ত্রী অনেক কাজ করে গেছেন। তিনি যে পর্যন্ত কাজ করেছেন, আমি সেখান থেকে কাজ শুরু করব। সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যেহেতু সাংবাদিক, জাতির বিবেক, আপনাদের দৃষ্টিতে ভালো বিষয়গুলো উপস্থাপন করবেন, সেগুলো যদি গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। আমাদের কাজে যদি আপনারা সহযোগিতা করেন তাহলে কাজের গতি বেড়ে যাবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনা আরও সুন্দর করতে পারব। ভূমি অফিসে হয়রানির প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই শক্ত অবস্থান হবে। আমরা যদি সবকিছু ডিজিটাইজড করতে পারি তাহলে কিন্তু তারা সেই সুযোগটা পাবে না। জমির মিউটেশন ও খাজনা যদি অনলাইনে হয় তাহলে কোনো অসুবিধা হবে না। দুর্নীতি করতে পারেন তাদের জন্য আপনার নির্দেশনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি একজন শিক্ষক ছিলাম, অতীতেও আমি একটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। নির্দেশনা হচ্ছে, নিজে পরিচ্ছন্ন থাকব, সবাইকে পরিচ্ছন্ন থাকার আহ্বান জানাব। 

রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন নতুন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়ের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন এই উন্নয়নকে সামনের দিকে আরও সম্প্রসারণ করে আমরা সবাই মিলে রেলকে একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করব। এ ছাড়া নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে রেলে আগুন দিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো রেলের নিরাপত্তা জোরদার করা। তাই এসব ঘটনা দূর করে রেলকে একটি নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হলে রেলের দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে, এ ছাড়া রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়। রেলের দখলকৃত জমি উদ্ধার এবং টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রেলকে আরও এগিয়ে নিতে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এরপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সকল মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি বলেন, পাট খাতের সমৃদ্ধি অর্জনকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। বস্ত্র ও পাট খাতকে সজীব-সতেজ করতে আস্থা ও অবিচলের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধুমাত্র গার্মেন্টস্ পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার তা করা হবে। আমি আগে বুঝে নিই, তারপর ঠিক করব কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে করব। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। ?লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি। সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আমার। তারপরও বলব আমি এখনো শিখছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন একটি সমৃদ্ধশালী উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের। আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করব। আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আগামী ৩০ জুনের মধ্যে টেলিকম খাতের সব লোকসানি কোম্পানিকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের প্রয়োজনীয় উদে?্যাগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এজন?্য সংশ্লিষ্টদের ইনটেগ্রিটি, ইনক্রিয়েস ইফিসিয়েন্সি, ইমপ্রুভ প্রসেস অ্যান্ড পারফরমেন্স, ইনট্রেক উইথ রেগুলেটর্স, ইনভেস্টমেন্ট ?এট্রেকশন এবং আইটি অ্যান্ড আইটিস এক্সপোর্ট প্রমোশন ইংরেজি শব্দের ‘আই’ আদ?্যক্ষর এই ছয়টি ‘আই’ মেনে চলতে হবে।

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জন এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের সব ভিশন ও মিশন বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি কর্মক্ষেত্রে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে জনসেবা করার জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন যথাযথ মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিদেশে দক্ষ বাংলাদেশী কর্মী পাঠানো এবং রেমিটেন্স আনার দিকে নতুন সরকার জোর দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান  চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আনার দিকে এবং কর্মসংস্থানের দিকে দেখব। দক্ষ শ্রমিক, দক্ষ মানুষ তৈরি করতে চাই আমরা। যারা বিদেশে যেতে চায়, তাদেরকে উপযুক্তভাবে ট্রেনিং দিয়ে তাদের পাঠালে আমাদের আরও বেশি ভালো হয় এবং বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ হয়।

দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই এবার আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ এবং সেখানে বিজয়ী হব বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই জয়ী হয়েছি। আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি-স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। দেশের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করি, যখন আমাদের নেতা দেশরতœ শেখ হাসিনা, তখন আমরা এ চ্যালেঞ্জেও বিজয়ী হব। 

সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের সোপান হলো শিক্ষা। আর শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা। তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাবে। রবিবার নবনিযুক্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মাধ্যমিকের সঙ্গে সমন্বয় করে এখানে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে শিক্ষার সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ফুল নেওয়া নয়, ফুল ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর