• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

মাতৃভাষা দিবসে পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিলে ভিড়

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস)। সরকারি ছুটির এ দিনে পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। আহসান মঞ্জিলে প্রবেশের জন্য টিকিট কিনতে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
বুধবার সরেজমিন দেখে গেছে, পুরান ঢাকা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আহসান মঞ্জিলে এসেছেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আহসান মঞ্জিলে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোর, ভাষা সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এহসান আহমেদ সিয়াম বলেন, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফ্রি। তাই বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে ঘুরতে এলাম।

মিরপুর থেকে আসা মাহফুজ আহসান বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় যানজট কম। তাই ভাবলাম জাদুঘরটা ঘুরে দেখি। ইতিহাস অধ্যয়নের জীবন্ত উৎস হলো জাদুঘর। তাই তো সবার জাদুঘরে এসে দেশ ও পূর্বসূরীদের ইতিহাস জানা উচিত।

আহসান মঞ্জিলের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রতিদিন বিকেলে দর্শনার্থী বেশি হয়। আজ ছুটির দিন হওয়াতে অন্য দিনের চেয়ে বেশি মানুষ এসেছে।

আহসান মঞ্জিল ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আব্দুল গণি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ্‌র নামানুসারে আহসান মঞ্জিল নামকরণ করেন। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং তা ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়।

আহসান মঞ্জিল একটি দোতলা ভবন। এটির বারান্দা ও মেঝে মার্বেল পাথরের তৈরি। এখানে রয়েছে নবাবী আমলের নানা নিদর্শন, মুদ্রা, অস্ত্র-শস্ত্র ও নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর