• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি মোতায়েন সুন্দরবনে পুন:অগ্নিকান্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী: টিআইবি সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি বিল-২০২৪ উত্থাপন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে মুন্সীগঞ্জে সমাবেশ

মেলান্দহের লোকজ সংস্কৃতি: হাওসের ধুয়া কোরিয়ান ভাষায় রূপান্তর

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার লোকজ সংস্কৃতির উজ্জল দৃষ্টান্ত ‘‘হাওসের ধুয়া’’ দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতিতে স্থান পেয়েছে। চলতি মাসের সপ্তাহব্যাপী (১ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর) দক্ষিণ এশিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তৃতীয় দিনে কোরিয়ান ভাষায় প্রচারিত হবে ‘‘হাওসের ধুয়া’’। 

ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপসহ বেশ কিছু দেশের বাছাইকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এই উৎসবে। প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর সব ক’টিই আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি সাবটাইটেলের পাশাপাশি থাকবে কোরিয়ান ভাষাতেও। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত পল্লীর ‘‘হাওসের ধুয়া’’।

রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিাত ‘‘হাওসের ধুয়া’’ বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও স্থান পেয়েছে বেশ কয়েকবার। জাপানের ইয়ামাগাতা ফিল্ম ফেস্টিবেলে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত বাছাইকৃত ছবির মধ্যে ‘‘হাওসের ধুয়া’’ নির্বাচিত হয়। বেঙল চালচ্চিত্রসহ বুশান ফিল্ম স্কুলের মতো আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফেস্টিবেলেও প্রদর্শিত হয়েছে এটি।

মেলান্দহের বিলুপ্তপ্রায় প্রাচীনতম লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধুয়া গানের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন-রেখিরপাড়া গ্রামের উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতা রাসেল রানা দোজা। তাঁর একক নির্মিত ‘‘হাওসের ধুয়া’’ প্রামান্য চিত্রে দেখানো হয়েছে কর্মজীবনের সাথে মানুষের সঙ্গীতের অবিচ্ছেদ্যতার বাস্তবতার প্রতিচিত্র।
‘‘হাওসের ধুয়া’’ চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে ধুয়া গানের পরিবেশনরীতি, গানের বিষয় বস্তু, ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র, গান রচনার প্রেক্ষাপট, অভিজ্ঞতার প্রতিফলন, গানের প্রাণবন্ত রস-যশ, হাসি-কান্না, প্রেম-বিরহ-বেদনা, ¯্রষ্টার প্রতি আনুগত্য, সৃষ্টির প্রতি মহানুভবতা। সব মিলিয়ে একটি সামাজিক কৃষ্টি-কালচারের মেলবন্ধন এবং বাস্তবতার ছাপ। যা মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে অন্তর্নিহিত’র মর্মস্পর্শী এক নিদর্শন।

এই চলচ্চিত্র নির্মাতা রাসেল রানা দোজার অনুভূতি ব্যাক্ত করে বলেন-সঙ্গীত জগতে তাঁর উস্তাদ চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসীন মুরাদের তত্ত¡াবধানে এই চিত্রনাট্যটি রচনা করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রযোজিত ‘‘হাওসের ধুয়া’’ পূর্ণতা অর্জন করেছে। জাতীয় পর্যায়ে বেশ ক’টি প্রদর্শনী হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ‘‘হাওসের ধুয়া’’ জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার অর্জন করেছে। যাদের নিয়ে ‘‘হাওসের ধুয়া’’ নির্মিত হয়েছে, তাদের মাঝেও সাড়া পড়েছে। আমার মেলান্দহবাসিও আমাকে সেভাবেই মুল্যায়ন করেছেন। 
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর