• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রৌমারীতে ব্রীজ আছে-রাস্তা নেই দূর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্মিত ব্রীজটি কাজে আসছে না এলাকাবাসির। ব্রীজের দুইপাশে এপ্রোচে মাটি ভরাট না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ। 

রাস্তাটি রৌমারী টু ঢাকা সংযোগ সড়ক যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী,ভিটাপাড়া থেকে জামাইপাড়া বেড়িবাধে গিয়ে সংযুক্ত হয়। ওই রাস্তা দিয়ে কোমরভাঙ্গী, জামাইপাড়া, পুরাতনপাড়া, ভিটাপাড়া, শিবেরডাংঙ্গী, পাখিউড়া, কোমরভাঙ্গী উত্তরপাড়া ও কমরভাঙ্গী গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও এলাকাবাসির কোন কাজে আসছে না। তাদের অভিযোগ ব্রীজের কাজ শেষ হলেও সংযোগ রাস্তা না থাকায় তাদের উৎপাদি পাট, ধান, ভুট্রা, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল হাটে নিয়ে বিক্রয় করতে পারছেন না। ন্বাভাবিক ভাবে চলার জন্য তারা গ্রাম থেকে স্বেচ্ছায় বাশ উঠিয়ে তা দিয়ে তারা ওঠানামার জন্য মাচা তৈরী করে যাতায়াত করছেন। 
ওই এলাকায় ইতিপূর্বে রাস্তা ছিল ভাঙ্গাচুরা কনোমতে গাড়ি দিয়ে জমির ফসল ঘরে আনতো। তবে ব্রীজ হওয়ার কারনে জমির কনো ফসল আর আনা যায় না। জীবনের ঝুকি নিয়ে কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের পেশাজীবি মানুষ যাতায়াত করছেন। ওই এল্কাায় ৩টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি জামে মসজিদ রয়েছে।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্প ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রায় ৭০ লক্ষ ৭২ হাজার ২২৪ টাকা ৬৫ পয়সা ব্যয় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। জামাইপাড়া বেড়িবাধ যাওয়ার রাস্তার আব্দুল কাদের এর বাড়ীর নিকট ১৫ মি: দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজটি নিমার্ণ করা হয়েছে। ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই।
কোমরভাঙ্গী ভিটাপাড়া গ্রামের শুকুর আলী বলেন, জামাইপাড়া বেড়িবাধ যাওয়ার রাস্তার উপরে ব্রীজের সংযোগ রাস্তা না থাকায় আমাদের আরো অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে। ব্রীজের পশ্চিমপাশে কৃষি জমির আবাদি ফসল অনেক কষ্ট করে নিয়ে আসি। ব্রীজ হলেও সংযোগ রাস্তা না থাকায় আমাগো কোন কাজে আসেনা, সরকার যদি ব্রীজের দুই পাশে সংযোগ রাস্তা করে দেয় তবে আমাগো অনেক উপকার হতো।

যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেস আলী বলেন, এক সময়ে ওই রাস্তা থাকলে চলাচলের অযোগ্য ছিল। তারপরেও এলাকার লোকজন কষ্ট করে যাতায়াক করতো। ব্রীজটি নির্মিত হওয়ায় ও সংযোগ সড়ক না থাকায় যাতায়াতের অসুবিধা হয়েছে। এনিয়ে আমি সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান বলেন, ব্রীজটির সাথে সংযোগ রাস্তা নেই। তবে ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে দ্রæত মাটি ভরাট কওে দিবে। 
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর