• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

রৌমারীতে চরাঞ্চল প্লাবিত

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২৪  

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কয়েকদিন ধরে তীব্র বৃষ্টির সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। 

বুধবার সকাল ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ফুলুয়ারচর,পশ্চিম ফুলুয়ারচর, পালেরচর ও চরশৌমারী ইউনিয়নের সোনাপুর, ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, উত্তর খেদাইমারী, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের খেয়ারচর, সাহেবের আলগা, দইখাওয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব চিত্র।
জানাজায়, গত কয়েকদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চরাঞ্চল তলিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে নদীতে তীব্র ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নদীতে বিলিন হয়েছে ২০টি পরিবার। অপর দিকে মরিচের টাল, তিল,চিনা,কাউন,পাট, রাধুনী হজ ও শাকসবজির জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। 

ফলুয়ারচর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঋন করে তিল, চিনা,কাউন ও মরিচের টাল করেছিলাম কয়দিন ধরে বৃষ্টি থাকায় জমিতে যাই নাই। আজকে জমিতে গিয়ে দেখি আমার জমি পানির নিচে তলিয়েগেছে। আমি এখন বউ বাচ্চানিয়ে কি খামু আর ঋনের টাকা কি ভাবে শোধ দিমু।
সোনাপুর গ্রামের চাঁন মিয়া বলেন, আমার ঘরবাড়ি নদীতে ভেসে গেছে। আমার বাড়ি করার মতো জায়গা নাই, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাব তার কোন নিশানা পাইতেছিনা। সরকারি-বেসরকারি ভাবে কোন সাহায্য পাইনা।
ফলুয়ার চর গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বিপ্লব হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ও তলিয়ে গেছে অনেক আবাদী ফসল। 

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের তিন চারটি গ্রামে পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ও চরের আবাদ গুলা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

উপজেল্ ানির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে উপজেলা কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন দেখাদিয়েছে। আমি ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সাথে কথা বলে ভাঙ্গন রোধের  চেষ্টা চালাচ্ছি। এবং ভাঙ্গ কবলিত মানুষগুলো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে আবেদন দিলে তাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করবো।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর