বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশের চায়ের চাহিদা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২০
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) কারণে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বিশ্বে চাহিদা বেড়েছে বাংলাদেশের চায়ের। গত অর্থবছরে যেখানে বেশিরভাগ পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে, সেখানে এ পণ্যটির আয়ে বছরজুড়েই ছিল ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি। শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চা রপ্তানিতে রেকর্ড পরিমাণ ১০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুলাইয়ে পণ্যটির রপ্তানির টার্গেট ধরা হয়েছিল দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার। মাস শেষে হিসাব করে দেখা গেছে দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে চা রপ্তানি করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার কারণে বিশ্বে যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে তার মধ্যে ওষুধ ও ওষুধজাত পণ্য রয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য হিসেবে চা রপ্তানিও বেড়েছে। কারণ কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে চা একটি গুরুত্বপূর্ণ পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বে চা রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত বড় ভূমিকা রাখলেও করোনার কারণে দীর্ঘসময় লকডাউনে থাকায় দেশটির চা বাগানগুলো থেকে চা পাতা তোলা হয়নি। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবেই চায়ের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চায়ের চাহিদা বেড়েছে অনেক দেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইরান, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চা রপ্তানি করে মোট আয় হয়েছিল ২ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনাকালে যে ১৬টি পণ্য প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইতিবাচক রপ্তানি আয় ধরে রেখেছে তার মধ্যে চায়ের অবস্থান ৮ম। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে পণ্যটির রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে সেই প্রবৃদ্ধি এক লাফে বেড়ে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান বলেন, করোনাকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের চায়ের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে মহামারীতেও পণ্যটির রপ্তানি ব্যাপক বেড়েছে। তবে সম্ভাবনা থাকলেও চা খুব বেশি রপ্তানি করা যাচ্ছে না। রপ্তানি আয় এখনো কয়েক মিলিয়ন ডলারেই আটকে আছে। তিনি বলেন, দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে, পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বাড়ছে। সে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের চা নেওয়া জন্য আগ্রহ প্রকাশ করা হলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে খুব বেশি রপ্তানি করা যাচ্ছে না পণ্যটি। চা উৎপাদনে ১৬৫ বছরের রেকর্ড : রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি গত বছর দেশের চা উৎপাদনেও রেকর্ড হয়েছে। ১৬৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ২০১৯ সালে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়েছে দেশে। আলোচ্য সময়ে ৮ কোটি কেজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার চেয়ে প্রায় দেড় কোটি কেজি বেশি উৎপাদিত হয়েছে পণ্যটি। দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত পরিমাণ চায়ের উৎপাদন হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেটের মালনীছড়ায় ১৮৫৪ সালে দেশের সর্বপ্রথম চা-বাগান স্থাপনের পর ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ কোটি কেজি উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল। গত মৌসুমে তার চেয়েও এক কোটি কেজি উৎপাদন বেড়েছে। লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল টি কমিটি’র প্রতিবেদন অনুসারে, চা উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান একধাপ এগিয়ে গত বছর ৯ম স্থানে উন্নীত হয়েছে। চীন ও ভারত পণ্যটি উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দশম স্থানে। তবে উৎপাদন বাড়ায় ২০১৯ সালে ওই অবস্থানে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। উৎপাদনের দিক দিয়ে এখনো বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর ইরান, মিয়ানমার, জাপানের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎপাদনের সঙ্গে তালমিলিয়ে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ বাজারে চায়ের চাহিদা। দেশে পণ্যটির প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব কুল প্রদীপ চাকমা জানান, ২০১৮ সালে ৮ দশমিক ২ কোটি কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল, ওই বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল ৮ দশমিক ৬ কেজি। ফলে তখন দেশের জন্য চা আমদানি করতে হয়েছিল। তবে গত বছর প্রায় দেড় কোটি কেজি চা উৎপাদন বেড়েছে। এ ছাড়া সিলেটের পাশাপাশি পঞ্চগড়েও চা উৎপাদন হচ্ছে। দেশের প্রায় ১২ ভাগ চা সেখানে উৎপাদন হয়। বাগানগুলোর মানোন্নয়নের মাধ্যমে আরও বেশি চা উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিটিবির সচিব আরও বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার ‘উন্নয়নের পথনকশা’ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন চলছে। ২০২৫ সালে দেশে ১৪ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
- ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে : শফিকুর রহমান
- জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ
- মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেওয়া যাবে : প্রধানমন্ত্রী
- পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- তৃতীয় কিস্তিতে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার দেবে আইএমএফ
- জুলাইয়ে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী
- রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই খরচ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
- দরপত্র কিনেছে বিশ্বসেরা ৭ প্রতিষ্ঠান
- দুই দেশ থেকে ১৩৫০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
- ১৭৬ দেশে কাজ করছেন ১ কোটি ৬৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি
- ‘রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে’
- প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান
- মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে : প্রধানমন্ত্রী
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন ওয়াজেদ
- প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী যারা
- সাংবাদিক নাদিম হত্যা: মাহমুদুল বাবুর জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
- ঢাকা পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
- আওয়ামী লীগের যৌথ সভা শুক্রবার
- নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক : ওবায়দুল কাদের
- ফাইন্যান্সিয়াল ওভারসাইট কমিটির কনসালটেশন সভা উদ্বোধন স্পিকারের
- গ্রাহকের অজান্তে মোবাইলের ব্যালেন্স কাটা হলে কঠোর ব্যবস্থা
- সংসদের অধিবেশন মুলতবি
- ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল গ্রেফতার
- রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মানবিক আবেদন
- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধিদলের বৈঠক
- বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী
- এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : খাদ্যমন্ত্রী
- কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার নির্মাণ করবে সরকার
- জঙ্গি ছিনতাই মামলার প্রতিবেদন ১০ জুন
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- আজ ৫২তম বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস
- এপ্রিলেই প্রকাশ হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল!
- স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে স্যামসাং
- কবে আসছেন ডি মারিয়া, যা জানা গেল
- জামালপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
- ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী বাংলাদেশ দল ঘোষণা
- মেলান্দহে সম্পত্তির বিরোধে বৃদ্ধ খুন : আটক-৩