• শনিবার ১১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

  • || ০২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মৎস্য বিভাগের মারধরে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

বরগুনার পাথরঘাটায় মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে বিষখালী নদীতে অভিযানকালে জেলেদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মারধরের শিকার হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর রিপন নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিষখালী নদীর কালমেঘা টুলুর পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর দক্ষিণ কুপধন এলাকায় বরগুনা জেলা মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় জেলে রিপন নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় আরো দুই জেলে আহত হন। নিহত রিপন উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুপধনের আ. রাজ্জাকের ছেলে। আহত জেলেরা হলেন, একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে রাসেল ও সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। এদিকে, রাতে রিপনের মরদেহ টুলু পয়েন্টে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে শতাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্র ও আহত জেলেরা জানান, প্রতিদিনের মতো রিপন, রাসেল, দেলোয়ার দুটি ট্রলার নিয়ে বিষখালী নদীতে মাছ ধরার জন্য যান। রাত আড়াইটার দিকে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য অভিযানে আসেন। তখন ওই দুটি ট্রলারকে ধরে সেখানে থাকা জেলেদের মারধর শুরু করেন তারা। এ সময় রিপন নদীতে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হলেও রাসেল ও দেলোয়ারকে নিয়েই অভিযান চালায় মৎস্য বিভাগ। অভিযান শেষে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তাদেরকে তীরে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা তাওহীদ দীপু বলেন, শুক্রবার সকালে ফিরে আসা জেলেদের থেকে তথ্য পেয়ে নদীতে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে খুঁজতে শুরু করি। পরে রাত ১২টার দিকে টুলু পয়েন্টের কাছে বনের ভেতর রিপনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির বলেন, নিখোঁজ জেলের সন্ধান পাওয়ার পর পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে রাত দেড়টার দিকে বিষখালী নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলেও সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মারধরের বিষয় অস্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনা সদর থেকে বৃহস্পতিবার বিষখালী নদীতে অবৈধ খুঁটি অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্থানীয় কিছু জেলেরা সহযোগিতা করেছেন। তখন কোনো জেলেকে আটক করা হয়নি। আর যতটুকু জেনেছি মারধরের বিষয়টি সত্য না। এরমধ্যে জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর