• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

শরীয়তপুরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে নামাজ আদায়

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

শরীয়তপুরে টানা কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। কৃষকরা দিনে মাঠের ধান কাটতে পারছেন না।
তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে তাই বৃষ্টি কামনা করে নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শরীয়তপুরের সরকারি ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালায় মাঠে বিশেষ এ নামাজ আদায় করা হয়। স্থানীয়রা এ নামাজের আয়োজন করেন। ধর্মমতে, এ নামাজকে বলা হয় ‘ইসতিসকার নামাজ’। এ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বা পানির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

এরআগে সকাল ৯টায় ভেদরগঞ্জ গৈড্যা মাদরাসা মাঠ, নারায়নপুর ঈদগাঁ মাঠ ও সকাল সাড়ে ৯টায় জাজিরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বিশেষ এই নামাজ আদায় করা হয়।


স্থানীয়রা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছিলেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেয়ার জন্য ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালায় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নামাজ আদায় ও দোয়া পরিচালনার জন্য হাজির হন মাওলানা আব্দুল বাতেন। প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন তিনি। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।

ডামুড্যা পৌরসভার বাসিন্দা মিরাজ সিকদার বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি এ নামাজের বিষয়ে অবগত আছেন। বর্তমান রোদ-গরমে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা একধরনের বড় দুর্যোগ। তাই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নামাজ আদায় করতে এসেছেন। আর নামাজ পড়তে আশা মুসল্লিদের জন্য তিনি খাবার পানি ও স্যালাইনের ব্যবস্থা করেন। 

একই এলাকার বাসিন্দা ভিপি শামীম খান বলেন, যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই আল্লাহকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি। 

স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছেই। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।

মাওলানা আব্দুল বাতেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, গবাদিপশু কষ্ট পাচ্ছে। খেতখামার ও বাগানে কৃষকরা কাজ করতে পারছেন না। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতেই ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী, দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর