• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সবার দৃষ্টি উপজেলায়

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

উপজেলা নির্বাচন শুরুর আর মাত্র একদিন বাকি। সারাদেশেই চলছে জমজমাট ভোটের লড়াই। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা সরব। সরকার চায় এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। তবে অধিকাংশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় এবং মন্ত্রী-এমপিরা স্বজনদের পক্ষ নেওয়ায় নেতাকর্মীরা অন্তর্কোন্দলে লিপ্ত হওয়ার কারণে বিব্রত দল। আর দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার করেও তৃণমূল নেতাদের থামাতে না পেরে বেকায়দায় বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রয়েছে কঠোর নজরদারি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে অধিকতর তৎপর। 
আগামীকাল ৮ মে থেকে শুরু হচ্ছে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন। ৪ ধাপে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন শেষ হবে ৫ জুন। এখন চলছে প্রার্থী এবং তাদের সমর্থক ও স্বজনদের জমজমাট নির্বাচনী প্রচার। প্রতিটি উপজেলায় দিনরাত বিরামহীনভাবে চলছে গণসংযোগ। কে কাকে পেছনে ফেলে ভোটযুদ্ধে এগিয়ে যাবে এ নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবার দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে নির্বাচন উন্মুক্ত রাখায় সব উপজেলায় দলটির একাধিক প্রার্থী।

আর এ নিয়েই দেখা দিয়েছে বিপত্তি। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজন কিংবা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সক্রিয় থাকায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে দলীয় অন্য প্রার্থীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। এ জন্য ভোটের দিন সহিংসতার আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন মহল। তবে ভোটগ্রহণকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যেই ইসির পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের সতর্ক করা হয়েছে।

নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মন্ত্রী-এমপিরা কারও পক্ষে কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইসি জানিয়েছে। এ ছাড়াও কোনো প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষের লোকেরা বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হস্তে দমনের কথা বলা হয়েছে। 
এদিকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় সরকার চায় যে কোনো মূল্যে উপজেলা নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়। সে জন্য সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। 
খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সংসদীয় বোর্ড সভায় বলেছেন, সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা নির্বাচন দেখতে চাই। তাই এ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। আমরা চাই উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। সে ক্ষেত্রে যারাই ভোটে জিতে আসবে আসুক। মানুষ যাকে চাইবে সেই ভোটে জিতে আসবে। 
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন দফায় দফায় বৈঠক করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে। তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।  ইতোমধ্যেই প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন সারাদেশের সকল উপজেলায় স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের অধিকতর সক্রিয় রাখার পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি জোরদার করেছে। যাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদ  নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে তফসিল ঘোষণার পরই অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, সকল বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি ও মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় মাঠ প্রশাসনের কাছে নির্বাচনের পরিবেশ জানতে চেয়েছে ইসি।

মাঠ প্রশাসন থেকে মন্ত্রী-এমপিদের এলাকায় পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ইসির কাছে অনুরূপ রিপোর্ট প্রদান করে। এ পরিস্থিতি খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করেছেন। তবে এ আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকতে ইতোমধ্যেই মন্ত্রী-এমপিদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রী-এমপিরা যাতে এলাকায় স্বজনদের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন  সে জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছে ইসি। 
নির্বাচন কমিশনের সাফ কথা উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টিও ম্লান হয়ে যাবে। তাই উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চায় ইসি। এ জন্য সরকারসহ সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদেরও কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।

তবে সরকার প্রধান ও নির্বাচন কশিমনের পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কোনো কোনো মন্ত্রী-এমপি স্বজনদের পক্ষে কাজ করার বিষয়টি নিয়ে সরকার বিব্রত বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। তবে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানা যায়।

নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশকে নীতিতে অটল থেকে দায়িত্ব পালনের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। কমিশন থেকে জানানো হয়, কথা না শোনার কারণে উচ্চ মহল থেকে নির্বাচনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলির জন্য সুপারিশ এলে তা কমিশন যথাযথ যাচাইয়ের পর প্রমাণসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে। এ জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চাকরি করলে বদলি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই নত হওয়ার চেয়ে বদলি সম্মানের।

তবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ইসিকে জানানো হয়, একই উপজেলা বা থানায় চাকরি করার কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের উপেক্ষা করে বা তাঁদের বাইরে গিয়ে চাকরি করা চ্যালেঞ্জ। অনেক সময় তাঁদের কথা না শুনলে শাস্তির খড়গ নেমে আসে। তাই এ বিষয়টি ইসি ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনিটরিং করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। 
সূত্র জানায়, নির্বাচনকালে প্রতিটি উপজেলায় থাকবে ত্রিস্তরের নিরাপত্তা। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিয়োজিত করার পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এবং র‌্যাব ও বিজিবি টহলরত থাকবে। আর সাদা পোশাকে থাকবে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। তবে ভোটের আগেই প্রতিটি উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের কারও পক্ষে সক্রিয় না থাকতে বিভিন্ন কৌশলে কাজ করা হচ্ছে। তার পরও যদি কেউ নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করেন তা হলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 
সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। সিইসি তাদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনকালে আপনাদের ওপর চাপ থাকবে। চাপ সবার ওপরেই থাকে। আপনারা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে কাজ করবেন। কারও বিরুদ্ধে তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী-এমপিরা যাতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নিতে পারেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তার পরও যদি কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন, তা হলে কমিশনকে জানালে তাৎক্ষণিক সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উপজেলা নির্বাচন শুরুর আর মাত্র ১ দিন বাকি। সারাদেশে এ নির্বাচনের পরিবেশ শেষ পর্যন্ত কেমন হয় তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। রাজনৈতিক দলসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলও এ নির্বাচনের দিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছে। এ নির্বাচনের ভোট কেমন পরিবেশে হয় তা পর্যবেক্ষণ করবেন বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও উপজেলা নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার চায় নির্বাচন যেন কোনো অবস্থায়ই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এ জন্য সরকারের তরফ থেকে ইসিকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও কঠোর অবস্থানে থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছে। 
৮ মে থেকে শুরু হয়ে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ৪৯৫টির মধ্যে ৪৮১ টি উপজেলার নির্বাচন। প্রথম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এর মধ্যে ৩ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে ১৬০টি উপজেলায় নির্বাচন। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ১১২ উপজেলার নির্বাচন। আর চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ৫৫ উপজেলার নির্বাচন।

প্রথম ধাপের ২২টিতে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। দ্বিতীয় ধাপের ১৬০টির মধ্যে ৮টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। তৃতীয় ধাপের ১১২টি উপজেলার মধ্যে ২১টিতে ভোট হবে ইভিএমে। আর চতুর্থ ধাপের ৫৫টির মধ্যে ২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে।  
এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১২২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। শীঘ্রই আরও বেশ ক’জন নেতাকে বহিষ্কার করবে বিএনপি। এ পর্যন্ত যাদের বহিষ্কার করা হয় তাদের মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৮১ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

এ ৮১ জনের মধ্যে একজন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। আর দ্বিতীয় থাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বিএনপির ৬১ জন নেতাকে। তবে বিএনপিদলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা নির্বাচন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের যেসব মন্ত্রী-এমপিরা দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে স্বজনদের পক্ষে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যত : তেমন কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়নি। তবে এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যায়। 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, উপজেলা নির্বাচনে যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
বিএনপির মুখপাত্র ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দলে সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যরা নির্বাচন করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে সেখানে নির্বাচন সামগ্রী পৌঁছানো হচ্ছে। তবে যেসব উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে সেখানে আগেই প্রয়োজনীয় মেশিনারি নেওয়া হচ্ছে। ভোটের একদিন আগে মক ভোট নেওয়া হচ্ছে। আর যেসব উপজেলায় ব্যালটে ভোট হবে সেখানে ভোটের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর