• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীরের জামিন স্থগিতই থাকবে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৪  

বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত আজ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আহসানুল করিম। এডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম উচ্চ আদালতের বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া আদেশ তৈরি করেছিলেন। দুদকের তদন্তেও তার জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম। গত ২১ মার্চ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলায় গত ৭ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এ মামলার পলাতক অপর আসামিরা হলেন-পৌরসভার সচিব বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার কার্তিক চন্দ্র দাস ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার আবদুল মজিদ। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় সিও অফিস সড়কের আফতাব হোসেনের ছেলে। দুর্নীতির অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতিমূলে হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ সৃষ্টি করেন। এরপর সেটি বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম ১০ বছর স্থগিত করান। পরে হাইকোর্টে রিট পিটিশন মামলার ২০২২ সালের ১৬ মার্চ রায়ের আলোকে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেলের আদেশে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল মোমেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করেন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর