• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

পাটগুদাম ব্রিজ মোড় যেন ‘গলার কাঁটা’

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ভৈরব, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার যানবাহন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (পাটগুদাম ব্রিজ) পার হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াত করে। কিন্তু ব্রিজের মোড় পর্যন্ত আসতেই প্রতিদিন যানজটে পড়তে হয়। কখনো কখনো মাত্র ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে চলে যায় কয়েক ঘণ্টা। স্থানীয়রা জানান, বছরের প্রায় পুরোটা সময় ময়মনসিংহের প্রবেশদ্বার এ ব্রিজ মোড় এলাকায় যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাতায়াতকারী যাত্রীদের। যানজটের কবলে আটকা পড়ে প্রতিদিন দূরপাল্লার যাত্রীসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রসূতিসহ জরুরি রোগী ও তার স্বজনেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ব্রিজ মোড় এলাকার বাসিন্দা সাইদুল মিয়া বলেন, এখানে সারা বছরই যানজট থাকে। এর মধ্যে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী উঠানো হচ্ছে, এতে যানজট আরো বাড়ছে। বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, পাটগুদাম ব্রিজের মোড়েই বাসস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড। ট্রাক-অটোরিকশাও নিয়ম না মেনে দাঁড়িয়ে থাকে। বাসের চালকরা বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করে। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যাও কম। ফলে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হয়। শ্যামলছায়া পরিবহন বাসের যাত্রী লিটন মিয়া বলেন, সব বাসসহ অটোরিকশা ও সিএনজির চালকরা এই ব্রিজ মোড়ে যাত্রী ওঠা-নামা করছে। ফলে প্রতিদিন যানজট লেগেই আছে। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে থেকে আমাদের মতো যাত্রীদের সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে। আফরোজ নামের আরেকজন যাত্রী বলেন, মোড়ে ৪ থেকে ৫ জন ট্রাফিক পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করেন। ফলে অসংখ্য যানবাহনকে এই কয়েকজন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সৈয়দ মাহাবুবুর রহমান বলেন, ব্রিজ মোড়ে যেন কোনো চালক গাড়ি না থামাতে পারে, এ জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন যানজট পুরোপুরি নিরসন করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, নগরীসহ গুরুত্বপূর্ণ পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের যানজট নিরসনের জন্য এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবারের আদলে দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। সেতুটিতে ভারী যান চলাচলের জন্য চারটি এবং মোটরসাইকেল ও হালকা যান চলাচলের জন্য দুটিসহ মোট ছটি লেন থাকবে। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে যানজট নিরসন হবে এবং যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর