কভিড-১৯, দেশের শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে আসছে নানা কর্মসূচি
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ প্রায় সাত মাস। এ মহামারীর কারণে বাড়ছে দারিদ্র্য। দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেলে সঙ্গত কারণেই বাড়বে সব স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার। উপার্জনের জন্য শিক্ষা ছেড়ে শ্রমে যুক্ত হতে বাধ্য হবে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা। বেড়ে যাবে বাল্যবিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের। বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছাড়ার হার ৩৭ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্তরে ১৮ শতাংশ। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা মনে করেন, করোনার কারণে ঝরে পড়ার এ হার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই করোনাপরবর্তী স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক হারে ঝরে পড়া রোধ করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
শিক্ষার্থীদের এ ঝরে পড়া নিয়ে সরকারও চিন্তিত। তাই করোনাপরবর্তী স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু এবং শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। পাঁচ বছরের
একটি প্রকল্প নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহ করবে, প্রতিটি স্কুলে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করবে এবং শিক্ষার প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে উপজেলা পর্যায়ে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ভবিষ্যতে লেখাপড়ার ক্ষতি এড়াতে সারাবছর টেলিভিশন, রেডিও ও ইন্টারনেটে পাঠদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক এবং বেসিন স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ের আরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা যাচাইয়ের সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। শিক্ষকস্বল্পতার নিরসনে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষাঋণ প্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দুপুরের খাবার সরবরাহের পর শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। ফলপ্রসূ হওয়ায় প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী করার পরিকল্পনা নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্রকল্পটি অবশ্যই ঝরে পড়া হ্রাস করা ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি প্রায় চূড়ান্ত। আরও কিছু দিন সময় লাগবে অনুমোদন নিতে।
তিনি জানান, আরেকটি প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের জন্য এবং ভবিষ্যতে কোভিড ১৯-এর মতো যে কোনো বিপর্যয়ের সময় লেখাপড়া ক্ষতি এড়াতে সারাবছর টেলিভিশন, রেডিও ও ইন্টারনেটে পাঠদান অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক এবং বেসিন স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ের আরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা যাচাই করার জন্য সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। শিক্ষকস্বল্পতার নিরসনে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের প্রতি এক নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে। যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ারও সহায়তা নিতে পারে শিক্ষকদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সারাদেশে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, মহামারীতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। আমরা প্রাথমিকভাবে প্রতিটি জেলায় মনোবিজ্ঞানী নিয়োগের কথা ভাবছি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় মনোবিদদেরও নিয়োগ দেব যারা প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন পুরুষ এবং একজন নারী শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন।
ডা. দীপু মনি একটি ওয়েবিনারে জানিয়েছেন, সরকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষাঋণ প্রদানের কথাও ভাবছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস সংকট দীর্ঘকাল চলতে থাকলে ড্রপ আউট হার বর্তমান স্তর থেকে কমপক্ষে ৭০ শতাংশে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, আমরা সর্বদা শিক্ষা খাতের প্রতি সরকারের অবহেলা দেখি কারণ এর জন্য যে বাজেট করা হয়েছিল তা সন্তোষজনক নয়। এ খাতকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না দিয়ে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা অসম্ভব। আমি সরকারকে শিক্ষক ও এনজিওর সহায়তায় দরিদ্র ও করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিত করার জন্য একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করতে বলেছি। তবে সরকার এখনো এ জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
দরিদ্র শিক্ষার্থীর জন্য মাথাপিছু মাসে ৫শ টাকা এবং শিক্ষকদের জন্য উদ্দীপনামূলক প্যাকেজ বরাদ্দের আহ্বান জানান বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, মহামারীতে শিক্ষার একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প টেকসই কর্মসূচি নেওয়া দরকার। এ জন্য অন্তত একটি দ্বি-বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কর্মসূচিতে পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা ও ছুটি সমন্বয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা করার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার জন্য সরকার কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে যাতে করোনা ভাইরাস প্রভাবের কারণে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে। তবে সরকার তা করেনি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত থাকবে এই বন্ধ। ইতোমধ্যে দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিওতে পাঠদান সম্প্রচার করছে শিক্ষা প্রশাসন।
- উলিপুরে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল প্রতিদিনই দুর্ঘটনা
- রৌমারীতে নির্বাচনী জনসভায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- ইসলামপুরে সেফটিক ট্যাংক খননের সময় মাটি চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
- বকশীগঞ্জে শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনে ছেলেমেয়েসহ ঘর ছাড়া গৃহবধু
- দক্ষিণে বাড়ল কমিউটার ট্রেন যাত্রী পরিবহন শুরু আজ
- জুনে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে দ্বিতীয় ইউনিট
- বন্দিদের সুস্থ রাখতে নানা উদ্যোগ কারাগারে
- উপজেলা নির্বাচন উৎসবমুখর দেখতে চাই - প্রধানমন্ত্রী
- সরকারিকরণ হলো জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৭০ কোটি ডলার মিলবে জুনে
- চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
- নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫০০ শয্যা
- চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী’
- ভুল তথ্যে প্লট কেনা ও হস্তান্তরে বরাদ্দ বাতিল
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অনলাইন জুয়ার সাইট বন্ধের দাবি নতুনধারার
- নদীর ঘাটে অসুস্থতা নিয়ে কাতরাচ্ছিল স্কুল ছাত্রী
- লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের প্যানেলের জনসভা
- বিডি চাইল্ড ট্যালেন্ট তৃষ্ণাত্ব মানুষের পাশে দাড়ালেন
- এনআইওতে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- ‘মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
- সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- চাঁদপুরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- আজ রমজানের শেষ জুমা, জুমাতুল বিদা
- ডা. জাকির হোসেন: উচ্চ রক্তচাপ রোগের একজন নিরলস চিকিৎসা কর্মবীর
- অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ জনকে পদোন্নতি
- কাঁচা আম ১৬ ধরনের রোগ থেকে বাঁচায়
- যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব বাঁচত
- কুরআনের আলো ছড়াতে হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখবে
- জামালপুরে অসহায় কামালের পাশে যুবসমাজ
- টিভি শো’র দুই বিজয়ী জামালপুরের
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- নন্দীগ্রামে অধ্যক্ষের পর গভর্নিং বডির পদ হারালেন সবুজ
- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম : শেখ হাসিনা
- পান্তা-ইলিশ যেভাবে এলো বাংলা নববর্ষে
- জামালপুরে র্যাবের হাতে টিকিট কালোবাজারি আটক
- বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
- অপরিচিতদের সঙ্গেও চ্যাটিংয়ে সুযোগ দেবে হোয়াটসঅ্যাপ
- এপ্রিলেই প্রকাশ হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল!
- জামালুপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা
- চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর