ঘুমাচ্ছিল বাবার সঙ্গে, শিশুকে তুলে নিয়ে বালিশচাপা দিয়ে খুন সৎমার

শনিবার দুপুর। ওই সময় চার বছরের ছেলে সিয়ামকে পাশে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বাবা। ঘুম থেকে জেগে দেখেন পাশে নেই সিয়াম। পরে অন্য ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে সিয়ামের মরদেহ। এ সময় সৎমা শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান সিয়ামকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সৎমা শারমিন খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তির পর তাকে আটক করা হয়। 

নিহত শিশু সিয়াম বাবু উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মনিরুল ইসলামে ছেলে। অভিযুক্ত শারমিন খাতুন উপজেলার একই এলাকার ছাতিয়ানী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় এক বছর আগে শিশু সিয়াম বাবুর মা পলি খাতুন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সন্তানের কথা চিন্তা করে প্রায় চারমাস আগে শারমিন খাতুনকে বিয়ে করেন সিয়ামের বাবা মনিরুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকে সৎছেলেকে মেনে নিতে পারেননি শারমিন খাতুন। শনিবার দুপুরে সিয়ামকে একটি ঘরে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তার বাবা। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করলে সিয়ামকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেন শারমিন। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।

নিহত সিয়ামের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, শারমিন মাঝেমধ্যে সিয়ামকে নির্যাতন করতো। শনিবার দুপুরে খাবারের পর ছেলেকে পাশে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে জেগে দেখি সিয়াম আমার পাশে নেই। পরে অন্যঘরে গিয়ে দেখি বিছানায় সিয়ামের মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সিয়ামকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে।

ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, সৎছেলে সিয়াম বাবুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শারমিন। তবে কেন সিয়ামকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলছে না। তাকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রক্রিয়াধীন।