• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

প্রার্থী বাছাইয়ে চমক!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৩  

সবার চোখ এখন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের দিকে। ভোটযুদ্ধের ময়দানে নৌকা প্রতীকে তিন হাজার ৩৬২ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্য থেকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনশ’ জনকে বেছে নেবেন। প্রার্থীদের পাশাপাশি দেশবাসীর দৃষ্টিও এখন সেদিকেই। প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভা হবে। ধারাবাহিক কয়েকটা বৈঠকের মাধ্যমে তিনশ’ আসনেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’। রীতিমতো উৎসবের আমেজে বড় বড় শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তো বটেই, আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাসহ সাধারণ কর্মীদের দৃষ্টি এখন দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের দিকে। কোন আসনে কে হতে যাচ্ছেন নৌকার কা-ারি? নতুন মুখ কারা আসছেন, আর কারা কারা ছিটকে পড়ছেন? কোন আসন শরিক দলের প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হবে? এমন অনেক প্রশ্ন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এসব প্রশ্ন আর গুঞ্জনের অবসান হবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা থেকে। তাই দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন রাজধানী তথা কেন্দ্রমুখী। ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কারা মনোনয়ন পেতে পারেন? Ñএমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, ‘শত ফুল ফুটতে দিন। যে ফুল সবচাইতে সুন্দর, আমরা তা বেছে নেব।’ মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী চ্যালেঞ্জিং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চারটি মাপকাঠি দেখে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার জনপ্রিয়তাই হবে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি। ভোটারদের মধ্যে অধিক জনপ্রিয়তা, দলে গ্রহণযোগ্যতা, দুর্দিনে যারা মানুষের পাশে থেকেছে এবং ক্লিন ইমেজের অপেক্ষাকৃত সৎ প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় করা মাঠ জরিপে যেসব প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন, তাঁরাই হবেন এবার নৌকার মাঝি। প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় আগামী নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে থাকা কারও দায় নেবে না দলটি। তবে এবারের প্রার্থী তালিকায় প্রবীণ ও অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদেরও প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে। দলের দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন তাদেরও এবার মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নীতিনিধারণী ফোরামের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এবারের দলীয় মনোনয়নে চমক দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক আমলা থেকে শুরু করে পেশাজীবীদের মধ্যে থেকেও এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে। আর বাদ পড়বেন বিতর্কিত, এলাকা বিচ্ছিন্ন, শারীরিকভাবে অক্ষম বা অসুস্থ বর্তমান এমপি-মন্ত্রীরা। এ ছাড়া মনোনয়ন তালিকায় একঝাঁক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নতুন মুখ হিসেবে স্থান পেতে পারেন। তবে জোট সমীকরণের কারণে অনেক আসনই ছাড় দিতে হতে পারে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তেমনি বর্তমান সংসদে থাকা এমপিদের মধ্যে মনোনয়ন হারানোর ভীতিও আছে। কে পাচ্ছেন নৌকাÑ শেষ মুহূর্তে তা নিয়ে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মাঝে মনোনয়ন কেনার হিড়িক লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষ রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবার বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেতাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এখন চরমে। সবার দৃষ্টি এখন তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই ঝুলছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হবে। সভার প্রথম দিনে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সংসদীয় আসনগুলোর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে প্রথম দিনের সভায় দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাকালে তিনশ’ নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর সর্বশেষ কী অবস্থা, তার একটি রিপোর্ট আজকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। জনপ্রিয়, কর্মীবান্ধব আর ভোটারদের পছন্দে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরাই এবার পাচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তিনশ’ আসনের জন্য একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত তালিকায় শেষ পর্যন্ত কারা থাকছেন তা দলের প্রধান শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউই জানেন না। এমনকি সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরাও এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গও জানতে পারেননি। বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কয়েক দফা মাঠ জরিপের ভিত্তিতে একটি বিশ্বস্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সহযোগিতা এই খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জানা গেছে, আজকের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এই খসড়া তালিকাকে সামনে রেখে আলোচনার ভিত্তিতে দলের একক প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে। তবে তিনশ’ আসনের দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা একাধিক দিন গড়াতে পারে। অতীতের মতো সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সংসদ নির্বাচনে বিভাগওয়ারী আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে। তবে জোট ও মিত্রদের যেসব আসন দেওয়া হতে পারেÑ সেসব আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে। আন্দোলনরত বিএনপি ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সর্বশেষ অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে এসব আসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে এসব আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্যও দলীয় চিঠি প্রস্তুত করা হতে পারে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায়। অতীতের মতো দল মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীদের দলের প্রধান শেখ হাসিনার স্বাক্ষর সংবলিত আনুষ্ঠানিক চিঠি গ্রহণের সময় প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের একটি করে চিঠিও স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগে কোনো আসন যদি মিত্রদের ছেড়ে দিতে হয়, তখন ওই আসনের দলের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে, যাতে কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করতে না পারে। আগের দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনেই অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার নির্বাচনের এই সময়ে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে রাজনৈতিক কোন কাজ করবেন না। তাই সভার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং যতটা সম্ভব বিতর্ক এড়াতে নির্বাচনের মাঠে এবার বেশি প্রার্থী রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে কোনো আসনেই কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে না পারেন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। আর সংসদ যাতে অংশগ্রহণমূলক হয় তা নিশ্চিত করতে বেশকিছু আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না রাখার কৌশল নিয়েও দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন উৎসবমুখর করতে এবং ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। কোনোভাবেই যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর নির্দেশনাও আছে। নৌকার বাইরে থাকা শরিকদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে এবার অধিক সতর্ক থাকবে দলটি। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না এলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর জন্য এবার নৌকাহীন আসনের সংখ্যা বাড়তে পারে। এর মাধ্যমে এসব আসনে অন্যদের বিজয়ী করে আনার সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে যেসব আসনে বিএনপির ভোটার তুলনামূলক বেশি থাকে সেসব আসন শরিকসহ অন্যান্য দলের জন্য ছাড় দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। তবে এবারের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় বর্তমান মন্ত্রিসভার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য ও আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা দলের ভেতরেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে এবার অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনে দলের একক প্রার্থী। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আট প্রভাবশালী নেতার আসনে দলের কেউ মনোনয়ন চাননি। জানা গেছে, এই তালিকায় আছেনÑ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন, শেখ তন্ময়, নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হাসান পাপন, একেএম শামীম ওসমান প্রমুখ। এ ছাড়া বেশ ক’টি আসনে মনোনয়নের জন্য বর্তমান এমপির পাশাপাশি এমপির ভাইবোন ও ছেলেরা দলের প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কুমিল্লা-২ আসনে বাবার বিরুদ্ধে প্রার্র্থ হতে চাইছেন ছেলে। কক্সবাজার-৩ আসনে বর্তমান এমপির সঙ্গে মনোনয়ন দৌড়ে শামিল হয়েছেন সহোদর দুই ভাইবোন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে এমপির সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁর ভাই, ছেলে ও ভাতিজা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় দলের বর্তমান এমপি ও রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি চিত্র তারকা, সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটার, ফুটবলার, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, আইনজীবী, আমলা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষের নাম রয়েছে। দল বা সহযোগী সংগঠনের পদে নেই এমন ব্যক্তিও দলের মনোনয়ন চেয়েছেন। বেশ কয়েকটি আসনে উল্লেখযোগ্য নারী নেত্রীরাও মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। ১৪ দলের বেশ কয়েকজন নেতাও নৌকার প্রতীক চেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শেখ হাাসনা। ওই সময় তিনি বলেন, অনেকেই প্রার্থী হতে চাইতে পারে। সবাই যোগ্যও হতে পারে। কিন্তু এক সিটে তো দিতে হবে একজনকেই। সেই একজনকে বাছাই করা আমাদের বোর্ডের কাজ। আমাদের একটি পদ্ধতি আছে। আমরা প্রার্থীদের দেখি, তৃণমূল থেকেও মতামত নেই। আরও তথ্য নেই। তারপর প্রার্থী চূড়ান্ত করি। কারা এবার পাবেন কাক্সিক্ষত দলীয় প্রতীক নৌকা এমন প্রশ্নের জবাবে বুধবার দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জনমত জরিপে, বিভিন্ন সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব সেল আছে। কার কী অবস্থা সেই সেলের মাধ্যমেও তথ্য আসে। সবগুলো মিলিয়ে যার নম্বরটা বেশি, তাকেই মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকেই আমরা মনোনয়ন দেব। উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে। এর দুই সপ্তাহ পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ॥

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর