• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মহামারি ও যুদ্ধের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটে পড়েছে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৪  

করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এসব কারণে নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে বসবাসকারী সব নাগরিককে শুভেচ্ছা ও রমজানের মোবারকবাদও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যার অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং অপরিসীম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শহীদদের স্মরণ করে বলেন, সেদিন আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই- বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লে. শেখ জামাল, ১০ বছরের শেখ রাসেল, কামাল ও জামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, বীর মুক্তিযোদ্ধা যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ব্রিগেডিয়ার জামিল এবং পুলিশের এএসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৯৭৫ পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সব শহীদকে স্মরণ করেন তিনি। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং ১৯৭৫-এর পর পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছে। একইসঙ্গে আমার দল আমাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছে। দেশবাসীর প্রতি আমার কর্তব্য হিসেবে এবং আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি বারবার এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সবার সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর। আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনও অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর