• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

হজের ফজিলত

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩  

ধর্মীয় আদেশ পালনের জন্য মুসলিমদের সর্ববৃহৎ সমাগম হয়ে থাকে সৌদি আরবের মক্কায়, পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে।
হজের জন্য মক্কায় একত্রিত মুসলিমদের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে উমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিজের ঘর থেকে কাবার উদ্দেশ্যে তোমার বের হওয়াতে, তোমার সওয়ারীর প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ একটি করে সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন এবং একটি করে পাপ মাফ করবেন। আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহ নিচের আসমানে নেমে আসেন এবং তাদেরকে (হাজিদেরকে) নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন।


বলেন, ’আমার ওই বান্দারা আলুথালু কেশে ধূলামলিন বেশে দূর-দূরান্ত পথ অতিক্রম করে আমার কাছে এসে আমার রহমতের আশা করে এবং আমার আজাবকে ভয় করে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি। তাহলে তারা আমাকে দেখলে কি করত?

সুতরাং তোমার যদি বালির পাহাড় অথবা পৃথিবীর বয়স অথবা আকাশের বৃষ্টি পরিমাণ গুনাহ থাকে, আল্লাহ তা ধুয়ে দেবেন। পাথর মারার সওয়াব তোমার জন্য জমা থাকবে। মাথা মুণ্ডালে প্রত্যেক চুলের বিনিময়ে একটি করে সওয়াব লিখা হবে। অতঃপর কাবাঘরের তওয়াফ করলে তুমি তোমার পাপরাশি থেকে সেই দিনের মতো বের হবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল। (ত্বাবারানী ১৩৩৯০, সহিহুল জামে’ ১৩৬০)


আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম কাজ কী? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান রাখা। জিজ্ঞাসা করা হলো, তারপর কী? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। তাকে আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, অতঃপর কী? তিনি বললেন, মাবরূর (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ। (বুখারি ২৬, মুসলিম ২৫৮)

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর