• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

জীবন দিয়ে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচালেন পাইলট জাওয়াদ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪  

নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করেছেন চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের দুই পাইলট। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাইলটদের এ বীরত্বের কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। আইএসপিআর জানিয়েছে, বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান দুই পাইলট। এর ফলে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় মানুষজন। এ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা দুই পাইলটের মধ্যে আসিম জাওয়াদ (৩২) নামে একজন মারা গেছেন। তিনি বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হন অপর পাইলট সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, আসিম ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ওই সময় প্রশিক্ষণে সামগ্রিকভাবে সেরা পারফরম্যান্সের জন্যে তিনি পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত সোর্ড অব অনার। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে বিমান থেকে দুই পাইলট প্যারাশুটযোগে নেমে যান। পরবর্তীতে নদী থেকে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আসিম জাওয়াদের। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির অবস্থান। দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি সেখান থেকে উড়াল দেয়। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিমানটিতে আগুন ধরে এবং কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর