• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

পারফরম্যান্সে সেরা আসিম পেয়েছিলেন ‘সোর্ড অব অনার’

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪  

ট্রেনিং জীবনে সব বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ। এসসিপিএসসি-থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ‘সোর্ড অব অনার’ বিজয়ী। এছাড়া ‘ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস’ কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তিনি পেয়েছেন ‘মফিজ ট্রফি’। এর বাইরেও দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য চিফ অব এয়ার স্টাফের প্রশংসা রয়েছে তার ঝুলিতে। আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা ডা. আমান উল্লাহ। মা নিলুফা আক্তার খানম। মা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। আসিম জাওয়াদ ২০০৭ সালে মাধ্যমিক ও ২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০১০ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা)। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে তিনি একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। পিটি-৬, এল-৩৯জেডএ, এফ-৭এমবি, এফ-বিজি১ ইত্যাদি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল আসিম জাওয়াদের। তিনি ছিলেন এফ-৭এমজি১ এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ‘ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে’ জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কোর্সের তাগিদে ভ্রমণ করেছেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে আসিমসহ দুই পাইলট আহত হন। তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গার বনৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসিম মারা যান। আহত উইং কমান্ডার সোহান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে১৩০ নামের যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানের পেছন দিকে আগুন ধরে যায়। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে। এর আগে প্যারাসুটযোগে বিমান থেকে নেমে যান দুই পাইলট। ব্যক্তিগত জীবনে দুই কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন আসিম জাওয়াদ। চাকরিসূত্রে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন তিনি। তার বিদায়ে পরিবার-স্বজনসহ বিমান, সেনা ও নৌ বাহিনীতে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওয়াইএকে১৩০ নামের বিমানটি রাশিয়ার তৈরি। এটি অ্যাডভান্সড জেট প্রশিক্ষণ বিমান। এটির মাধ্যমে চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বিমানের প্রশিক্ষণ নেয়া যায়। তাছাড়া হালকা জঙ্গি বিমান এবং গোয়েন্দা বিমান হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে এ ধরনের ডজনখানেক উড়োজাহাজ রয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর