• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ফুলবাড়ীতে ফুলকপি-বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩  

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশায় প্রান্তিক চাষিরা পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

প্রতি বছর চাষিরা ভাল দামের আশায় আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষাবাদ করে আসছেন। ফলে শীত শুরুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে নানা মুখি ঝুঁকি থাকা সত্তেও সফলতার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব চাষাবাদ করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সাফল্যের সাথে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন অ লের শতশত চাষি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোন জমি আর পতিত নেই বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমাহার। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল এলাকার বারোমাসিয়া নদীর তীরে কুটিবাড়ী ও কৃষ্ণনন্দ বকসী এলাকা গিয়ে দেখা গেছে শত শত কৃষক পতিত জমিতে আগাম জাতের কেউ ফুলকপি আবার কেউ বাঁধাকপি চাষ করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই স্বপ্নের ফসল ফুলকপি ও বাঁধাকপি ব্যাপক হারে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। যে সকল চাষির নিজস্ব জমি না থাকলেও  তারা অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এ অ লের মানুষ সাধারণত সারা বছর আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।  
কৃষ্ণানন্দ বকসি এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম ও আমজাদ আলী জানান, তারা প্রত্যেকেই আড়াই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এখন পর্যন্ত ক্ষেতে বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই দুই কৃষক আরও জানান, প্রতি বিঘায় ফুলকপি চাষাবাদে খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আশাকরছি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। বর্তমানে যে বাজার মূল্য দেখা যাচ্ছে এরকম বাজার মূল্য  থাকলে তারা ১ বিঘা জমিতে খরচ বাদে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা.নিলুফা ইয়াছমিন জানান, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করেছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে চাষিরা আগাম ২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ২০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির  চাষবাদ করেছেন। যা এখনও রোপন প্রক্রিয়া চলমান আছে। অধিকাংশ কৃষক আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে ফুলকপি বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। আশাকরছি কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন ।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর