• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এমভি আবদুল্লাহর ভেতরের ছবিতে যা দেখা গেল

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪  

৩১ দিন পর ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের পথে। ফের জলদস্যুদের কবলে পড়ার আশঙ্কায় জাহাজটির চারপাশে রয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ- এমনটিই জানা গেছে। জানা গেছে, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে উপকূল ত্যাগ করে ভারত মহাসাগর অংশে পৌঁছাতেই এমভি আবদুল্লাহর আশপাশে অবস্থান নেয় অন্তত চারটি দেশের নৌবাহিনীর কয়েকটি বোট। এরপর এসব দেশের নৌসদস্যরা জাহাজটিতে উঠে আসেন। নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশের নাবিকদের সঙ্গে ছবিও তোলেন তারা। যদিও আগে থেকেই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করছিলেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা। ভারত মহাসাগরের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ অতিক্রমের সময় জলদস্যুদের অন্য কোনো গ্রুপ হামলা চালানোর শঙ্কায় নৌসদস্যরা এ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেন বলে জানান মেরিন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ছয়টি যুদ্ধজাহাজ ঘিরে রেখেছে এমভি আবদুল্লাহকে। তারাও মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। আমাদের মতো চারটি দেশের নৌবাহিনীর তাগিদ ছিল, যেন তাড়াতাড়ি এ ইস্যুটি সমাধান করা যায়। আল্লাহর রহমতে আমরা ইস্যুটি দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি। এদিকে, জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটির ভেতরের কিছু ছবি পাওয়া গেছে। যেসব ছবিই বলে দিচ্ছে জাহাজে এক মাস ধরে জিম্মি থাকা নাবিকদের দুর্বিষহ জীবনের কথা। গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে অন্তত সাড়ে ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ঐ সময় জলদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেতে স্পেন-ইতালিসহ অন্তত চারটি দেশের নৌবাহিনীর কাছে জরুরি বার্তা দিয়েছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা মেলেনি। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল বিকেলে জলদস্যুদের কাছে বিমানে করে পৌঁছানো হয় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ। অর্থ পেয়েই সেদিন মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা। মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিক হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসার খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়েলার হক আইনুল, শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামে। এছাড়াও আরো আছেন- লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ, খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল, ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির, নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম, নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন, নাটোরের অর্ডিনারি সীম্যান মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর