• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রৌমারীতে কনকনে ঠান্ডা ও শীতে কাবু নিম্ন আয়ের মানুষ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪  

রৌমারী ও রাজিবপুর সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায় হিমেল হাওয়া, কনকনে ঠান্ডা ও শীতে কাবু হয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কমেছে। 

শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। বৃদ্ধরোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। স্থবির হয়েছে পড়েছে সাংশারিক সকল কার্যক্রম। ঝিমিয়ে পড়েছে ক্ষেতের সকল ফসলাদি।
গত একসপ্তাহ থেকে দেখা নেই সূর্য্যরে আলোর। দিনের বেলায় কুয়াশা কম থাকলেও রাতের বেলায় ঘনকুয়াশায় অন্ধকার হয়ে আসে। ফলে যানবাহন চলাচলে ব্যহত সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে দূর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে অনেক যানবাহন। ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে খেটে খাওয়া মানুষ যেতে পারছে না তাদের কর্মস্থলে। এতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। দরিদ্র অসহায় পরিবারগুলো তাদের বাড়িতে খড় ও গাছের পাতা জ্বালিয়ে ঠান্ডা নির্বারণ করার চেষ্টা করছে। দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের অভাব। সরকারি ভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা অপ্রতুল। তাছাড়া গ্রামের অনেক দরিদ্র পরিবার পায়নি সেই কম্বল। কম্বল বিতরণ নিয়েও রয়েছে নানা অনিয়ম। কনকনে ঠান্ডা, হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার কারনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না অভিভাবকরা। ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া, টায়ফয়েড, সর্দি ও কাশিঁ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ। এছাড়াও গরু ছাগলসহ বিভিন্ন পশু প্রাণীর জীবন হয়ে উঠছে বিপর্যস্ত। সাংসারিক সকল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অপর দিকে ঝিমিয়ে পড়েছে জমির ফসলাদি। ঠান্ডার কারনে বেড়ে উঠছে না ধান বীজ, সরিষা, গম, শাকসবজিসহ অন্যান্য গাছপালা। ১৩ জানুয়ারী (শনিবার) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, যে পরিমাণ কম্বল দিয়েছে একেবারেই অপ্রতুল। গত বছর প্রায় ১২’শ কম্বল বিতরণ করেছি। এবারতো তীব্র ঠান্ডা.তাই ইউএনও ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে কম্বল এর পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য জোরদাবী করছি। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামছুদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৩১১০ টি কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে ২৪৫০ টি ছয়টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে কম্বল এসেছিল সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছে বিতরণরে জন্য। তবে শীতের তীব্রতা যদি আরোও বেড়ে যায় তাহলে কম্বল এর চাহিদা পাঠানো হবে।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর