গর্ভপাত করা কি জায়েজ? কখন জায়েজ!
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২
চল্লিশ দিনের পূর্বে গর্ভপাত করার মাসয়ালায় ফিকাহবিদ আলেমগণ মতভেদ করেছেন।
একদল হানাফী, শাফেয়ি ও কিছু হাম্বলী আলেমদের মতে, এটি জায়েজ। ইবনুল হুমাম ‘ফতাহুল কাদির’ গ্রন্থে (৩/৪০১) বলেন: “গর্ভধারণের পর ভ্রূণ ফেলে দেয়া কি বৈধ? কোনরূপ আকৃতি তৈরী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বৈধ। এরপর তারা (আলেমগণ) একাধিক স্থানে বলেছেন: এটি ১২০ দিনের পূর্বে হয় না। এ কথার দাবী হচ্ছে যে, তারা আকৃতির দ্বারা রূহ ফুঁকে দেওয়াকে বুঝিয়েছেন; নচেৎ এ কথা ভুল। কেননা চাক্ষুষ দেখার মাধ্যমে সাব্যস্ত যে আকৃতি এ সময়সীমার পূর্বেই গঠিত হয়।”
রামলী ‘নিহায়াতুল মুহতাজ’ গ্রন্থে (৮/৪৪৩) বলেন: “অগ্রগণ্য হলো রূহ ফুঁকে দেওয়ার পর নিঃশর্ত তা হারাম। আর রূহ ফুঁকে দেয়ার পূর্বে জায়েয।”
ক্বালয়ুবী এর পাশ্বটীকাতে (৪/১৬০) বলা হয়েছে: “রূহ ফুঁকে দেয়ার পূর্বে তা (ভ্রুণ) ফেলে দেওয়া জায়েয; এমনকি ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে হলেও। তবে গাজালীর দ্বিমত রয়েছে।”
আল-মিরদাওয়ী ‘আল-ইনসাফ’ গ্রন্থে (১/৩৮৬) বলেন: “ভ্রুণ ফেলে দেওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করা জায়েজ। ইবনুল জাওযি ‘আহকামুন নিসা’ গ্রন্থে বলেন: ‘তা হারাম’। আল-ফুরু গ্রন্থে বলা হয়েছে: আল-ফুনুন গ্রন্থে ইবনে আকীলের বক্তব্যের প্রত্যক্ষ মর্ম হচ্ছে: রূহ ফুঁকে দেওয়ার পূর্বে ফেলে দেয়া জায়েজ। তিনি বলেন: এ কথার পক্ষে যুক্তি রয়েছে।”
মালেকি মাযহাবের মতে, সাধারণভাবে নাজায়েজ। এটি কিছু হানাফি, শাফেয়ি ও হাম্বলী আলেমেরও বক্তব্য। দিরদীদ ‘আল-শারহুল কাবীর’ গ্রন্থে (২/২৬৬) বলেন: “গর্ভায়শের অভ্যন্তরে স্থান করে নেয়া বীর্যকে বের করা নাজায়েয; এমনকি সেটা চল্লিশ দিনের পূর্বে হলেও। আর যদি রূহ ফুঁকে দেওয়ার পরে হয় তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।”
ফিকাহবিদদের মধ্যে কেউ কেউ বৈধ হওয়ার জন্য ওজরগ্রস্ত হওয়ার শর্তযুক্ত করেছেন।
উচ্চ উলামা পরিষদের সিদ্ধান্তে এসেছে-
* যথাযথ শরয়ি কারণ ও সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে ব্যতীত গর্ভস্থিত ভ্রুণ যে ধাপের হোক না কেন সেটা নষ্ট করা নাজায়েজ।
* যদি গর্ভস্থিত ভ্রুণটি প্রথম ধাপে থাকে; প্রথম ধাপ হলো চল্লিশ দিনের সময়সীমায়; এবং গর্ভপাত করার মধ্যে কোন শরয়ি কল্যাণ থাকে কিংবা কোন ক্ষতি রোধকরণ থাকে তাহলে গর্ভপাত করা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে এই সময়সীমার মধ্যে গর্ভপাতের কারণ যদি হয় সন্তানদের প্রতিপালনের কষ্ট কিংবা তাদের জীবিকা ও শিক্ষার ব্যয়ভার বহনের ভয় কিংবা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর যে কয়জন সন্তান আছে তারাই যথেষ্ট এগুলো; তাহলে গর্ভপাত করা নাজায়েজ।” [আল-ফাতাওয়া আল-জামিআ’ (৩/১০৫৫) থেকে সমাপ্ত]
স্থায়ী কমিটির ফতোয়াতে (২১/৪৫০) এসেছে: “নারীর গর্ভস্থিত ভ্রুণকে কোন শরয়ি কারণ ব্যতীত গর্ভপাত করা নাজায়েয। যদি গর্ভস্থিত বস্তুটি বীর্যের অবস্থায় থাকে; আর তা থাকে চল্লিশদিন বা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে এবং সেটি ফেলে দেয়ার মধ্যে কোন শরয়ি কল্যাণ থাকে কিংবা মায়ের উপর থেকে সম্ভাব্য কোন ক্ষতি রোধ করার বিষয় থাকে; তাহলে এমতাবস্থায় সেটি ফেলে দেয়া জায়েয আছে। তবে সন্তানদের প্রতিপালনের কষ্ট, তাদের ব্যয়ভার বহন বা প্রতিপালনের অক্ষমতা কিংবা যে কয়জন সন্তান আছে তারাই যথেষ্ট ইত্যাদি অ-শরয়ি কারণগুলো এর মধ্যে পড়বে না।
আর যদি ভ্রুণের বয়স চল্লিশ দিন পার হয়ে যায় তাহলে সেটি নষ্ট করা হারাম। কেননা চল্লিশ দিন পর সেটি রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়; যা মানবাকৃতির সূচনা। তাই এ স্তরে পৌঁছার পর বিশ্বস্ত কোন ডাক্তার ‘গর্ভধারণ চলমান রাখা মায়ের জীবনের জন্য বিপদজনক এবং চলমান রাখলে মায়ের জীবন বিপন্ন হতে পারে’ মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়া ব্যতীত সেটি নষ্ট করা জায়েয নয়।”
তবে যে অভিমতটি অগ্রগণ্য তা হলো চল্লিশ দিনের পূর্বে গর্ভপাত করা প্রয়োজন হলে সেটা জায়েয। প্রয়োজনের মধ্যে প্রশ্নে যা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা পড়বে। যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে তিনজন বাচ্চাকে গর্ভধারণ করা মায়ের জন্য কষ্টকর ও স্বাস্থ্যহানিকর। এর ফলে গর্ভস্থিত সন্তানের উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এত ছোট বয়সের তিনটি সন্তানের সেবা করার সাধ্য মায়ের নাও থাকতে পারে।
- বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে জব করার সুযোগ
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষর
- স্মরণ সভা: ডা.আলাউদ্দিন সিরাজি
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আগ্রাসন, যুদ্ধকে না বলুন
- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে গরু আনার চিন্তা
- উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ‘বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই’
- রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
- কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ১২০০ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর
- ৪ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, মিলেছে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ
- স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- নীলুফা ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- কেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’
- তাড়াইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টেকনাফে ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- ছেলের বাসার রান্না করতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু
- চাঁদপুরে ৬ লাখ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে যা বললেন জাকির
- মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার
- ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আর নেই
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- গোলরক্ষক ইয়ারজানকে পঞ্চগড়ে সংবর্ধনা
- জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র সাংস্কৃতিক সংস্থার ইফতার অনুষ্ঠিত
- সরিষাবাড়ি স্কুল ছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাং আটক-২
- ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভটভটি চালকের
- দর্শনার্থীদের টানছে মিয়াবাড়ি মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য
- বাবা-মাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলে কারাগারে
- জামালপুরে অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, গ্রেফতার ৩
- দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ