• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও টেস্ট বৃদ্ধিতে আসছে নতুন কর্মপরিকল্পনা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) টেস্ট ফি নির্ধারণ হয় জুন মাসের ২৯ তারিখ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয় হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করাতে হলে লাগবে ২০০ টাকা। বাসায় গিয়ে টেস্ট করাতে লাগবে ৫০০ টাকা। ফি নির্ধারণের কারণ হিসেবে মন্ত্রণালয় জানায়, অনেকে প্রয়োজন না হলেও কোভিড টেস্ট করিয়েছে। তাই অপ্রয়োজনীয় টেস্ট বন্ধ করতে এই ব্যবস্থা।

 

তবে ফি নির্ধারণের পর থেকে ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে নমুনা সংগ্রহ। যেখানে ২০ হাজারের বেশি নমুনা সংগ্রহের পর টেস্ট হতো নূন্যতম ২০ হাজার, সেখানে নমুনা সংগ্রহ ধীরে ধীরে নেমে আসে ১১-১৩ হাজারের মধ্যে। ঈদ উল আযহার ছুটিতে এটি আরো কমে আসে। নেমে যায় ১০ হাজারের নিচে।

 

এই অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন কিভাবে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়। এ বিষয়ে এখনো কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হয়নি। কাজ চলছে বলে জানা গেছে। হয়তো দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিদপ্তর থেকে কোভিডের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা আসতে পারে।

 

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ফি নির্ধারণের পর এতটা নমুনা সংগ্রহ কমে আসবে তা তারা বুঝতে পারেনি। তবে এটি একটি ভালো উদ্যোগ ছিলো। এখন দেখা যাচ্ছে যাদের প্রয়োজন তারাই আসছে না কোভিড টেস্ট করতে। এদিকে, দরিদ্র ব্যক্তিদের কোভিড টেস্ট ফ্রি হলেও যারা নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা এটি পালনা করছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে, হতদরিদ্ররা জানেও না তাদের জন্য এখনো কোভিড টেস্ট ফ্রি।

 

এসব সমস্যার সমাধান টানতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর এক সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আমরা টিভি স্ক্রলে, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নমুনা দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু এখানে তো ফি নির্ধারিত আছে। জোর করাও মুশকিল। তবে ফি তুলে নিলে নমুনা সংগ্রহ ও টেস্টের হার বাড়তো। নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর