• বুধবার ২২ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

তীব্র গরমে মুরগির খামারিদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ভোলার লালমোহন উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে স্বস্তি নেই জনজীবনে। আবহাওয়ার এই বিরূপ প্রভাব পড়েছে উপজেলার মুরগির খামারগুলোতেও। গরমের দাপটে লালমোহনের বিভিন্ন এলাকার খামারিদের মুরগি মারা যাচ্ছে। এছাড়া কমেছে ডিমের উৎপাদনও। উপজেলার খামারিদের ভাষ্য, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে মুরগি মারা যাচ্ছে। কারণ প্রতিটি খামারের চাল টিনের। রোদের তাপে উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে টিন। এতে করে খামারের মুরগিও অস্বস্তিতে পড়ছে। গরম কিছুটা কমাতে দিনে কয়েকবার মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। গরম সহ্য করতে না পেরে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে। বর্তমানে লালমোহন উপজেলায় লেয়ার মুরগির ৫৮টি এবং বয়লার মুরগির ৩৮৫টি খামার রয়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিন লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় কয়েকটি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। খামারগুলোতে মুরগির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারীরা। কেউ মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করছেন, আবার কেউ ডিম সংগ্রহ করছেন। অন্যদিকে খামারের ভেতর ঠান্ডা রাখতে বিরামহীনভাবে চলছে বৈদ্যুতিক পাখা। কিন্তু এতেও গরম তেমন কমছে না। পূর্ব চরউমেদ এলাকার একটি লেয়ার মুরগির খামারের শ্রমিক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গরম শুরুর পর থেকেই খামারের মুরগিগুলো ছটফট করছে। ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠান্ডা হচ্ছে না। প্রতিদিন কয়েকবার করে মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরও মুরগি মারা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে খামারের অন্তত একশতটি মুরগি মারা গেছে। এছাড়া যেসব মুরগি গরমের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সেগুলোকে ভিন্ন রেখে প্রয়োজনীয় যত্ন নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলার লামছি এলাকার লেয়ার মুরগি খামারের মালিক জাকির হোসেনের ভাই মো. এমরান হোসেন বলেন, আমাদের দুইটি খামারে প্রায় ১ কোটি টাকা পুঁজি রয়েছে। কিন্তু এই গরমের কারণে দিন দিন একের পর এক মুরগি মরে যাচ্ছে। কোনো ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। ডিম পাড়া মুরগির সংখ্যাও কমে গেছে। এছাড়া বাজারে খাদ্যের দাম বেশি, ডিমের দাম কম। এমন অবস্থায় আবার গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে, ডিম উৎপাদনও কম হচ্ছে। এতে করে খামার টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার খামারি মো. সেলিম মিয়া জানান, বিগত কয়েকদিনের গরমে মানুষের পাশাপাশি খামারের মুরগিগুলোরও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এমন তীব্র দাবদাহ চলতে থাকলে মুরগি রোগাক্রান্ত বা হিটস্ট্রোকে মরে শেষ হয়ে যাবে। খামারে লাখ লাখ টাকা পুঁজি খাটানো। সামনে কী হবে তা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, গরমে উপজেলার কোথাও মুরগি মারা গেছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি। তবে গরমের এই সময়ে খামারিরা মুরগির যেসব উপায়ে যত্ন নিতে পারেন সেই বিষয়ে আমরা তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর