• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে ফসলের খেত

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টি না থাকায় প্রচণ্ড খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে বাদাম, মরিচ, মুগডালসহ শত শত হেক্টর রবি ফসলের খেত। অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ যেন কেড়ে নিয়েছে এখানকার কৃষকের মুখের হাসি।তীব্র তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
বৈশাখের শেষেও দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। তীব্র খরতাপ ও তাপদাহ থেকে থেকে রক্ষা পেতে কেউ ছুটে যাচ্ছেন গাছের ছায়ায় আবার কেউ নিচ্ছেন শীতল পানির পরশ। তারপরও মিলছেনা স্বস্থি। তীব্র তাপদাহের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তাদের দৈনন্দিন আয় কমায় বেড়েছে ভোগান্তি।


কৃষিকাজ নিয়েও কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। তীব্র তাপদাহে ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় সেচ দিয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাড়ছে ফসল উৎপাদনের খরচ। আবার প্রতিদিন জমিতে সেচ দেওয়াও হয়ে পড়ছে তাদের জন্য দুস্কর।

ভেড়ামারা জুনিয়াদহ গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম আলী তার মরিচ ও পাট ক্ষেতে স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় জানান, এভাবে প্রতিদিন জমিতে সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেচ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে যা হবার তাই হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই জমিতে সেচ দেওয়া লাগছে। এভাবে প্রতিদিন ফসলি জমিতে সেচ দিতে হলে ফসল উৎপাদনের খরচ বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হবে। ফলে ফসল থেকে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হবে।  


এদিকে তীব্র তাপদাহ ও অসহ্য গরমে ভেড়ামারা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।

প্রকৃতির এ বৈরী আহাওয়া থেকে বাঁচতে বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হলেও দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। ফলে অস্বস্থি ও দূর্বিসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণও মিলছেনা ভেড়ামারাসহ কুষ্টিয়াবাসীর। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর