বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আমার কথা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২০
বিশ্ব শিক্ষক দিবস পৃথিবীর সমস্ত মানুষকেই কোন না কোন পর্যায়ে শিক্ষকের নিকট হতে শিক্ষা নিতে হয়। এটি প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক দু ভাবেই হতে পারে সে হিসাবে সবাই শিক্ষক সবাই শিক্ষার্থী।
পৃথিবীর সকল উন্নত, অনুন্নত রাষ্ট্রেই শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এর কারণ বহুবিদ একটি কারণই যথেষ্ঠ হবে সেটি হলো আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের একজন শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমপি, মন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি হয়ে দেশের সেবা করবে। তাই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নার্সিং নিশ্চিত করা হয় উন্নত রাষ্ট্রে।
তাদের শিখানো হয় বিজ্ঞান, মানবিকতা,নৈতিকতা ইত্যাদি। পূর্বের চাকুরী সূত্রে জাপান যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল সে হিসাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভিজিট করেছিলাম এবং জানা, বুঝার চেষ্টা করেছিলাম তাদের শিক্ষা কাযক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতি কেমন। একজন কলিগকে; জিজ্ঞাসা করেছিলাম তুমি পিএইচডি করবে কবে? উত্তর ছিল এখানে সেটি দরকার নেই এমনকি মাস্ট্রার্সও সে করবে না বলে জানায়, যে কিনা লন্ডন মেট্রােপলিটন ইউনিভাসিটি হতে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। গ্রাজুয়েশন ই সেখানে সর্বোচ্চ ধরা হয় চাকুরী ক্ষেত্রে। যারা গবেষণা করবে তাদের জন্য পিএইচডি এমফিল ইত্যাদি। শুধু শুধু সার্টিফিকেট অর্জন সেখানে বড় বিষয় মনে করা হয় না। জীবনমুখী শিক্ষা সেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে জানিয়ে রাখি জাপানে কোন প্রকার অপরাধ নেই, অপরাধ প্রবণতাও নেই। কেন নেই সেই প্রশ্নে উত্তর রয়েছে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর।
তাদের বিদ্যালয়গুলি একেকটি রাষ্ট্রীয়, সমাজ, চরিত্র গঠনের মূল পাঠাগার হিসাবে গড়ে তুলা হয়েছে। গনিত, ভাষা, নৈতিকতা, মানবিকতা, সামাজিকতা, ন্যায়-অন্যায়, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হয় নিবিরভাবে। একজন শিক্ষাথী প্রবেশ করেন তার জুতা বদলিয়ে ক্লাশরুমে ক্লাশে অংশ নেয়।
আরো জানা যায়, দিনের শুরুতে প্রধান শিক্ষক সবার আগে স্কুলে আসেন। তিনি স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে সব ছাত্র-ছাত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। শিক্ষার্থীরা স্কুলে ঢুকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ক্লাস শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ খেলাধুলা, কেউ বিভিন্ন প্রোগ্রামিং কার্যক্রম, কেউ হ্যান্ড ক্রাফটে কাজ করে।বিদ্যালয় হতে দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়।
মনোবিজ্ঞানী, দন্ত চিকিৎসক দিয়ে শিক্ষাথীদের দাঁত এর চিকিৎসা এবং মানসিক অবস্থা উন্নয়নে মনোবিজ্ঞানীরা অবদান রাখেন। একজন পুষ্ঠিবিদ পর্যাপ্ত ক্যালরি মান নিশ্চিত করেন।
এই ভাবেই গড়ে উঠা একজন শিক্ষাথী দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি, নিজের কর্মের প্রতি পাংচুয়াল থাকবে, ডেডিকেটেড থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারা একেকটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তৈরি করছে এভাবে বিপুল পরিমান অর্থ লগ্নি করে।
যা হোক বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এসব নিয়ে আলোচনা গুরত্ব পাচ্ছে কেন! যারা এই প্রজন্ম তৈরিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে সেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা, ব্যবহারিক জ্ঞান, সাইকোলজিক্যাল মেধাবৃদ্ধি প্রভৃতি সম্পন্ন করে তাদের মর্যাদা সর্বোচ্চ এবং সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সবার আগে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড আমরা ছোট হতে শুনে আসছি তাহলে মেরুদন্ড গঠন করে দিবে কে নিশ্চয় শিক্ষক, কাকে দিবে রাষ্ট্রকে দিবে দিচ্ছে,তাহলে শিক্ষকের মেরুদন্ড শক্ত, কর্মক্ষম রাখতে হবে। একটি শিক্ষিত সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকলে তবে এটির গুরুত্ব বোঝতে পারবে।
জাতীয়করণ করেই জাপান সহ উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থার সকল ইতিবাচক দিক গ্রহণ করে সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেই চিন্তা থেকেই জাতীয়করণ উদে্যাগ নিয়েছিলেন। তার অবশিষ্ট কিছু সমাপ্ত করেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা ।। প্রধানমন্ত্রীর একটি কথা এখানে স্মরণ করতে চাই শিক্ষকদের দাবি দাওয়ার জন্য কোন প্রকার মিটিং মিছিল করতে হবে না, আমি সেটা দেখবো।স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদসহ সমগ্র শিক্ষক সমাজ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে একটি মানবিক, নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন, জ্ঞানী, বিজ্ঞান মনষ্ক প্রজন্ম তৈরিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয়করণসহ উন্নত বৈপ্লবিক পরবির্তনের পদক্ষেপ শেখ হাসিনার মাধ্যমেই সম্ভব।
শামীম তালুকদার,
শিক্ষক
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আগ্রাসন, যুদ্ধকে না বলুন
- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে গরু আনার চিন্তা
- উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ‘বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই’
- রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
- কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ১২০০ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর
- ৪ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, মিলেছে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ
- স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- নীলুফা ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- কেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’
- তাড়াইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টেকনাফে ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- ছেলের বাসার রান্না করতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু
- চাঁদপুরে ৬ লাখ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
- মানিকগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- জব্বারের বলীখেলা: এবারের চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- মেলান্দহ গণহত্যা দিবসে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- ইসলামপুরে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে যা বললেন জাকির
- মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার
- ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আর নেই
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- গোলরক্ষক ইয়ারজানকে পঞ্চগড়ে সংবর্ধনা
- গণহত্যা দিবসের আলোচনা
- জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র সাংস্কৃতিক সংস্থার ইফতার অনুষ্ঠিত
- সরিষাবাড়ি স্কুল ছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাং আটক-২
- জামিনের পরও জেল খাটছেন আলভেজ
- ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভটভটি চালকের