• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

গরমে শীতল আর শীতে উষ্ণ থাকে যে মসজিদ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৪  

দুই জানালা আর তিন দরজা বিশিষ্ট জামে মসজিদটিতে ইমামসহ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ৪১ জন মুসল্লি। প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পড়ছেন পথচারীসহ স্থানীয় মুসল্লিরা। মোগল সাম্রাজ্যের আমলের রহস্যঘেরা প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো মসজিদটির নির্মাণ সম্পর্কে বলতে পারছে না কেউ। মসজিদের ইতিহাস সম্পর্কেও জানে না স্থানীয় বাসিন্দারা। মসজিদের সামনে একটি পাথরে ফারসি ভাষায় কিছু একটা লেখাও থাকলেও সেটি কেউই পড়তে পারছেন না। এমন রহস্যঘেরা মসজিদটি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের উত্তর বাঞ্চানগর পাইকবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত। তবে বর্তমানে এটি হাবিব উল্যাহ ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ নামে পরিচিত। স্থানীয়দের ধারণা হাবিব উল্যাহ ভূঁইয়া নামে একজন ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। ঐ মৌজার জমির দলিলপত্রে তার নাম লেখা আছে। মসজিদের ভেতরে গরমকালে ঠান্ডা ও শীতের সময় গরম লাগে। মসজিদটি চুন সুরকির ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের প্রতিটি ছাদ ও গম্বুজসহ প্রতিটি দেওয়ালে পুরুত্ব অনেক বেশি। তিন গম্বুজবিশিষ্ট পুরোনো মসজিদ। গম্বুজের চূড়ায় ও সামনের অংশে পাঁচটি কলস রয়েছে। মসজিদের দেওয়ালের পুরুত্ব প্রায় এক মিটার। পুরো দেওয়ালজুড়ে রয়েছে ফুলের কারুকাজও। এলাকার ও মসজিদের নাম হয়েছে হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়ার নামে। তবে কে এই হাবিব উল্লাহ তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তার কবরও বা কোথায়৷ সেটিও জানে না কেউ। স্থানীয় পাইকবাড়ির শত বছর বয়সী ছৈয়দ আহমেদ বলেন, নির্মাণকাল কত বছর, কে বা কাহারা মসজিদটি নির্মাণ করেছে এসবের কিছুই কেউ জানে না। জন্মের পর থেকে দেখে আসছি মসজিদটি। আমাদের বাবা-দাদারাও জানতেন না। তবে হাবিব উল্যাহ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেছেন বলে শুনেছি। পাশের বাড়ির নামও তার নামে। জমির দলিলপত্রেও তার নাম পাওয়া গেছে। তার নামেই মসজিদটি হাবিব উল্যা ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। মূল কাঠামো ঠিক রেখে স্থান সংকলন না হওয়ায় বর্তমানে সংস্কার করে সেটি আরো বড় করা হয়েছে। জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মমিন উল্যা বলেন, প্রায় ১১ বছর ধরে আমি এই মসজিদে ইমামতি করছি। কেউ মসজিদের সঠিক ইতিহাস জানাতে পারেননি। কয়েক বছর আগে মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত করে সামনে সম্প্রসারিত ভবন হয়েছে। ইতিহাস বিজড়িত মসজিদটি অক্ষত রয়েছে। কয়েক বছর পর পর শুধু রঙ করা হয়। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আবু সিনহা মো. তারেক বলেন, মসজিদের নেমপ্লেটে ফারসি ভাষায় যে সাল লেখা আছে সেই অনুযায়ী সময়টা মুঘল আমলের শেষের দিকের হবে। তবে নির্দিষ্ট করে সময় বলতে পারছি না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর